বোমাঘাতে জখম মেয়ে ও তার পিতাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পাওয়া গেলো আরো বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বারুদ

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগর মারুফদাহের আসলাম হোসেন টেংরার বাড়ি থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতপরশু বিস্ফোরিত বোমায় টেংরার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে বন্যা আকতার একার একটি হাত উড়ে যায়। ক্ষতবিক্ষত বন্যা আকতার একাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় অজ্ঞাত চিকিৎসাকেন্দ্রে। এদিকে টেংরাকে ধরতে পুলিশ পরশু রাত থেকে লাগাতার অভিযান অব্যাহত রাখলেও গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে ধরতে পারেনি।

পুলিশ বলেছে, ঘটনার পরদিন গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পুলিশ টেংরার বাড়ি থেকে গানপাউডার সাদৃশ বস্তু, মারবেল ও কাঁচের টুকরোসহ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগরের রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদাহ গ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জনযুদ্ধের সাবেক সদস্য বর্তমানে জামাল বাহিনীর নেতা টেংরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। সে গত মঙ্গলবার দুপুরে ঘরে বসে বোমা তৈরি করছিলো। এ সময় আকস্মিকভাবে একটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে তার মেয়ে একার ডান হাতের কব্জি উড়ে যায়। ঘটনার পর সন্ত্রাসী টেংরা দ্রুত আহত মেয়েসহ স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য গোপন স্থানে চলে যায়। জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবীর জানান, মামলা হয়েছে। বোমাবাজ টেংরাকে গ্রেফতার করতে মঙ্গলবার রাতভর ঝিনাইদহ জেলার খালিশপুর, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় অবস্থিত প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে টেংরাকে যেমন পাওয়া যায়নি, তেমনই আহত বন্যা আকতার একাকে কোথায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তারও সন্ধান করা সম্ভব হয়নি। মামলায় টেংরাসহ আহত একাও আসামি। ওসি বলেন, দ্রুত সন্ত্রাসী টেংরাকে ধরতে পুলিশের বিশেষ একটি টিম অভিযানে রয়েছে।