বেশিরভাগ দল আইনের পক্ষে বিএনপি চায় ঐকমত্যের ইসি

 

সংলাপ শেষ : সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দলগুলোর নিজেদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার কথা বার বার বললেন রাষ্ট্রপতি

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক মাসে পাঁচ দফায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে বঙ্গভবনে মোট ৩১টি রাজনৈতিক দলের সংলাপ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ দল ইসি গঠনে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে আইন প্রণয়ন বা অধ্যাদেশ জারির পক্ষে মত দিয়েছে। আর সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি আইন বা অধ্যাদেশের কথা না বলে দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ ইসি গঠনের কথা বলেছে। ৩১টি দলের মধ্যে ব্যতিক্রমী প্রস্তাব ছিলো জাতীয় পার্টি-জেপি’র। গত ২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) পুনরায় সিইসি এবং কমিশনারদের নতুন করে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় না। সেজন্য পুরনো কোনো অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ কমিশনারকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায় কি-না, তা বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছে জেপি। অন্যদিকে পৃথকভাবে এই ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বারবার বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই যথেষ্ট নয়, এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতাও অপরিহার্য। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নিতে হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে দলগুলোর নিজেদের মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতার সংস্কৃতিও গড়ে তোলা দরকার। এ সময় রাষ্ট্রপতি আরো বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক, আর তাহলো- জনকল্যাণ। বিতর্কহীন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল রাজনৈতিক দলের চেষ্টা থাকাও বাঞ্ছনীয়। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলগুলোর সাথে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন- রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন গঠনে বিভিন্ন গঠনমূলক প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি আশা করেন, দলগুলোর মতামত ও প্রস্তাব শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, সিইসি ও তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। আরেকজন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। যে কারণে রাষ্ট্রপতিকে ৮ ফেব্রুয়ারির আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন ইসি গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি বিদায়ী বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেন। প্রথমদিন আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি। আর গত ১১ জানুয়ারি বৈঠক করে আওয়ামী লীগ।

আইন প্রণয়ন ও ই-ভোটিংয়ের প্রস্তাব আওয়ামী লীগের: রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলেছে, এখনই উপযুক্ত আইন বা অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। সময়-স্বল্পতার কারণে সম্ভব না হলে পরবর্তী কমিশন গঠনের সময় তা করা যেতে পারে। নির্বাচনে ই-ভোটিংয়েরও প্রস্তাব দেয় দলটি। সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির প্রতি তাদের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তার গৃহীত যে কোনো ন্যায়সংগত উদ্যোগের প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

সংসদে না থাকায় এখন আইন চায় না বিএনপি: বিএনপির নির্ভরযোগ্য একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য এখনই আইন প্রণয়নের পক্ষে নয় তাদের দল। কারণ বর্তমান সংসদে আইন করা হলে তাতে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। বরং সরকারি দল নিজেদের সুবিধামত আইনটি করে নেবে। তাই বিএনপি রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার মাধ্যমে মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণ একটি কমিশন গঠনের পক্ষে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন, এই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনী আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও) সংশোধনের দাবিসহ ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলো।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির অনুসন্ধান কমিটিকে গুরুত্ব দিয়ে দলটি এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে। বিএনপি নেতাদের মতে, নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ করা না গেলে শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাবে না। তাই তারা কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের বিষয়টিকে জরুরি মনে করেন না। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য দরকার। অন্যথায় নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হবে। বিএনপির মতো কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেনি, দলটি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছে।

আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি গঠন ও নারী কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব বেশিরভাগ দলের: রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) কমিশন গঠনে সংবিধান মেনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। দলটির প্রস্তাবে সম্ভব হলে সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই আইন করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তারা কমিশন গঠনে পাঁচ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছে জাসদ, গণফোরাম, ন্যাপ, এলডিপি, ইসলামী ঐক্যজোট, বিএনএফ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাসদ, বিকল্পধারা, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফ্রন্ট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল। ওয়ার্কার্স পার্টি কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছে। জাপা, জাসদ, গণফোরাম, ন্যাপ, এলডিপি, বিএনএফ, বাসদ, বিকল্পধারা, বাংলাদেশ ন্যাপ, গণফ্রন্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল কমিশনে অন্তত একজন নারী কমিশনার নিয়োগের কথা বলেছে। নারী কমিশনারের পাশাপাশি কমিশনে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে বিকল্পধারা।

শেষদিনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিনটি দলের বৈঠক: সংলাপের শেষদিনে গতকাল রাষ্ট্রপতির সাথে জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বৈঠক করেছে। নিরপেক্ষ ইসি গঠনের জন্য নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে জাকের পার্টি। নিরপেক্ষ সার্চ কমিটির জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো থেকে একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের প্রস্তাবসহ মোট আট দফা দিয়েছে দলটি। বৈঠকে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল। আর ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে চারটি প্রস্তাব দিয়েছে ২০ দলীয় জোট শরিক বিএমএল। দলের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদদের মধ্য থেকে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগে বিরত থাকার কথাও বলেছেন। অন্যদিকে, ইসিকে অধিকতর কার্যকর এবং স্বাধীন ও শক্তিশালী করার জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে সাংবিধানিকভাবে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এএ মান্নান।

সংলাপে যেতে না পারায় পিডিপির লিখিত প্রস্তাব বঙ্গভবনে: রাষ্ট্রপতির সাথে গতকাল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি-পিডিপি’র বৈঠকের পূর্ব নির্ধারিত সূচি ছিল। তবে দলের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর অসুস্থতার কারণে পিডিপি সংলাপে যেতে পারেনি। অবশ্য কোরেশীর পক্ষে দলের কো-চেয়ারম্যান নিলুফার পান্না কোরেশী ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল এমএ হোসেনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে ইসি গঠনে দলটি ১০টি প্রস্তাব দেয়।

ইসি গঠনের আগে সংলাপে না আওয়ামী লীগের, বিএনপির হুঁশিয়ারি: সংলাপ শেষে সার্চ কমিটি গঠনসহ নতুন ইসি গঠনে প্রয়োজনে আবারো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। ১৮ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে সংলাপের সময়েই একথা বলে এসেছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন ইসি গঠন না হলে বিএনপি প্রয়োজনে রাজপথে নামবে। ইসি গঠনের পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনেরও দাবি তুলেছে বিএনপি। তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, ইসি গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। এই সংলাপ শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে আরেকটি সংলাপের প্রশ্ন তো আসে না।

সার্চ কমিটি গঠনের সম্ভাবনা: বঙ্গভবনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি আব্দুুল হামিদ একটি সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গতকাল ইত্তেফাককে জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো রাষ্ট্রপতি যাচাই-বাছাই করবেন। এরপর পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রপতি। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের মতে, হাতে সময় কম থাকায় এবার আইন করে কমিশন গঠন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তবে আইন করার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। তার মতে, আপাতত অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হতে পারে।

আমন্ত্রণ পায়নি নিবন্ধতি যেসব দল: ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১৮ জানুয়ারি, এই এক মাসে রাষ্ট্রপতি ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে বৈঠক হয়েছে ৩১টি দলের সাথে। কারণ হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন এবং শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বে থাকা জাসদের পৃথক দুই অংশের সঙ্গেই বৈঠক হয়েছে, এ দুটি দলের মধ্যে নিবন্ধন রয়েছে একটির। আর সংলাপের আমন্ত্রণ না পাওয়া নিবন্ধিত ৯টি দল হচ্ছে- বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ন্যাপ ও মুসলিম লীগের অপরাংশ। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন গতরাতে জানান, সংলাপ শেষ।