বেনাপোল ও শার্শার সীমান্ত পথে আসছে ভারতীয় গরু : খামারিদের লোকসানের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে ভারত থেকে গরু আসতে শুরু করেছে। তবে সীমান্তে অনুমোদিত খাটালগুলোর মাধ্যমে কি পরিমাণ গরু আসছে তার হিসাব কারো কাছে না থাকলেও নাভারন কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে রয়েছে বলে জানা গেছে। এ হিসেবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এক হাজার ৬৭০টি গরু ও ৩২০টি ছাগল ভারত থেকে এসেছে। তবে এ সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। থাকবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বলে জানালেন কাষ্টমস ও ভ্যাট অফিসের কর্মকর্তারা।

ভারতীয় গরু ব্যাপকভাবে আসা শুরু হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশি খামারিরা। তারা এ বছর ব্যবসায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন। শার্শার উপজেলার ৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভারতীয় সীমান্ত। এ সীমান্তের বেশিরভাগ স্থানজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। তবে যেসব স্থানে বেড়া দেয়া নেই, সেসব পথে অনায়াসে গরু হেঁটে বাংলাদেশে চলে আসছে। আর যে পথে কাঁটাতারের বেড়া সেখানে নেয়া হচ্ছে ভিন্ন কৌশল। গরু-ছাগল মাঠে চরানোর নাম করে গেট দিয়েই পার করে দিচ্ছে ভারতীয়রা।

এদিকে বৈধ পথে গরু, ছাগল ও ভেড়া আনার জন্য শার্শার কয়েকটি খাটালের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত তিন বছর যাবত ভারতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএসএফ’র কঠোর হস্তক্ষেপে পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা এই চারটি খাটাল দিয়ে সীমিত সংখ্যক গরু আসতো। বর্তমানে এ চিত্র পাল্টে গেছে। এখন প্রতিদিনই এ পথে হাজার হাজার গরু আসা শুরু হয়েছে। যা দিন দিন বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

যশোরের নাভারনস্থ পশু শুল্ক করিডোর সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহে শার্শার বিভিন্ন করিডোর দিয়ে বৈধ প্রক্রিয়ায় এক হাজার ৬৭০টি ভারতীয় গরু ও ৩২০টি ছাগল এসেছে। এ অফিসে দায়িত্বরত কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুমা মনি জানান, শার্শা সীমান্তের চারটি পশুহাট পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা দিয়ে যে পশু আসে নাভারন করিডোরে তার ভ্যাট আদায় করা হয়। হিসাব করে দেখা গেছে, বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ২শ থেকে ২৫০টি ভারতীয় পশু সীমান্ত পার হয়ে এদেশে আসছে। ঈদ সামনে রেখে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। এদিকে কোরবানি ঈদের আগে পশু আমদানি বেড়ে গেলে বা ভারত থেকে পশু আসা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশি খামারিরা। তারা যে আশা নিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করেছিলেন সেভাবে পশুর দাম না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ কারণে তারা শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু আসা প্রতিরোধে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।