বেগমপুর ও তিতুদহে নীরবে চলছে মোবাইলফোনে চাঁদাবাজি

 

স্টারিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে জনযুদ্ধের সুমন ও রানা পরিচয়ে মোবাইলফোনে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। জীবন বাঁচাতে অনেকেই বিকাশে করছেন টাকা পরিশোধ। টাকা পরিশোধের পর আবারও ধরা হচ্ছে চাঁদা। প্রাণ ভয়ে অনেকেই রাত কাটাচ্ছেন শহরের কোনো আত্মীয়র বাড়িতে। বাদ পড়েননি চৌকিদার থেকে চেয়ারম্যান। মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।

বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়ন ঘুরে জানাযায়, ৯০’র দশকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছিলো রক্তাক্ত জনপদ। প্রতিদিনই শোনা যেত লাশের খবর। ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস নির্মূলে গ্রহণ করেন যুগান্তরী পদক্ষেপ। সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরে আসতে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মধ্যদিয়ে আত্মসমর্পণ করায় অনেককে। ফলে ভীতিকর হত্যার খবর শোনা থেকে সস্তি পায় এলাকাবাসী। সম্প্রতি শান্ত চুয়াডাঙ্গা আবারও অশান্ত হতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে জেলার দামুড়হুদা আর আলমডাঙ্গায় ঘটে যায় বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড। নেপথ্যে চাঁদাবাজির যোগসূত্র। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জনযুদ্ধের সুমন ও রানা পরিচয়ে চলছে মোবাইলফোনে নীরব চাঁদাবাজি। অনেকেই নির্ধারিত টাকা দরকষাকষি করে সাধ্যমতো পরিশধও করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাঁদার টাকা পরিশোধকারী একজন জানান, কি আর করার, যে ধরনের হুমকি-ধামাকি দেয়া হচ্ছে তাতে করে টাকা না দিয়ে উপায় আছে। এধরনের অভিযোগ পুলিশের নিকট প্রতিদিনই জমা পড়ছে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, তথ্য সংগ্রহকারী পুলিশের দায়িতরত ডিএসবি ওয়াসাররা জেগে ঘুমাচ্ছেন। ফলে অনেকেই চাঁদার টাকা পরিশোধ করলেও পুলিশের নিকট জানাতে ভয় পাচ্ছেন।

এদিকে আবার অনেকেই রাতে গ্রামের বাড়িতে রাত না কাটিয়ে মহরের কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার শান্তিকামী মানুষ।