বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন : সালমা অশ্রু দিয়ে মুছতে চাইলেও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে নির্যাতন। নানা অজুহাতে নির্যাতন তো আছেই, নোন্দায়ের কটুক্তি আর কুদৃষ্টিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সালমা। নালিস করবে কার কাছে? তাই তো মুখবুজেই দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করে আসছে। গতরাত ৮টার দিকে যখন শুরু হয় নির্যাতন তখন সালমা শাড়ির আছল কামড়ে স্বামীর ঘরে বসে থাকলেও প্রতিবেশীরা নিরব থাকেনি। তারা সালমাকে উদ্ধার করে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনাটি চুয়াডাঙ্গার পৌর কলেজপাড়ায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মধুপুর গ্রামের মৃত তেজাব আলীর মেয়ে সালমা খাতুনের সাথে আনুমানিক ৯ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার জুব্বার আলীর ছেলে তনুর বিয়ে হয়। তনু সেনেটারি মিস্ত্রি। বিয়ের পর থেকেই ছুতো-নাতাই সালমাকে মারধর করে। স্বামী তো নির্যাতন করেই, স্বামীগৃহে থাকা অন্যরাও নির্যাতন করে। বাড়ির পাশে স্বামীর বোন ও ভগ্নিপতি বসবাস করেন। সালমাকে নানাভাবে কটুক্তির পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দেয়। সালমা তার শাশুড়ির নিকট নালিশ করেও প্রতিকারের বদলে পেয়েছে উল্টে বকা। ফলে নীরবেই সহ্য করে আসছে সামলা। মাঝে মাঝেই প্রতিবেশীরা সালমাকে পিটুনিসহ তার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা বিষয়ে ওঠে। এরপরও এতিম সালমা স্বামীর একদিন সুমতি হবে আশায় বুক বেধে পড়ে থাকে। গতকাল বুধবার দিনে ও রাতে যখন নির্যাতন করে তখন প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে সালমাকে উদ্ধার করে পাশের তাজুলের বাড়িতে রাখে। তাজুল অবশ্য সালমার মামাদের দিক দিয়ে আত্মীয়। প্রতিবেশীরা বলেছেন, সালমাকে যেভাবে তার স্বামী শাশুড়ি ও ননোদসহ ননোদের স্বামী জহুরুল নির্যাতন করে তা দেখে নীরব থাকা যায় না। বিচার হওয়া উচিত।