বিয়ের আগের দিন শখেরবসে করিমনে উঠে ঘটলো বিপত্তি

 

অপ্রাপ্ত বয়সেই আজ বিয়ের আসনে বসানো হচ্ছিলো পারিবারিকভাবে

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: নাম পিয়া। আন্দুলবড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স আর কতো। টেনে-টুনে হয়তো ১৪ বছর। আজ শুক্রবার ছেলেপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে দেখতে এসে হবে বিয়ে। ঘটকের সাথে পরিবারের সদস্যদের কথার্বাতা পাকাপাকি। এরই মাঝে শখের বসে শ্যালোইঞ্জিন চালত করিমনে উঠে হারিয়েছে একটি হাতের তিনটি আঙ্গুল। পরে তাকে নেয়া হয়েছে যশোর হাসপাতালে। একেতো বাল্য বিয়ে, এর পর ঘটেছে বিয়ের পূর্বদিনে দুর্ঘটনা।

গতকাল রাতে শখের বসবতি হয়ে শ্যালোইজ্ঞিনচালিত করিমন গাড়িতে উঠে নাবালক আনাড়ি চালক পাঁচিলের সাথে ধাক্কা মেরে মেয়েটির হারাতে হয়েছে ডান হাতের ৩টি আঙুল। এখন মেয়েটির বিয়ের কি হবে?এ উদ্বোগ উৎকণ্ঠায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিরাজ করছে চরম দুশ্চিন্তা। আহত পিয়াকে স্থানীয় চিকিতসকের নিকট নিয়ে প্রাথমিক চিকিতসা দেয়া কালে আঙ্গুল কেটে বাদ দেয়ার কথা শুনেই ধরাশায়ী পিয়া বেডে যন্ত্রণায় ছটফট ও কান্নাকাটি করে শুধুই বলছিলো আমি বিষ খাবো,গলায় দড়ি দেবো। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা মাইক্রোযোগে তাকে যশোর সদর হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়। পিয়া জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার মেয়ে।

জানা গেছে,অনন্তপুর গ্রামের ভদা গতকাল শ্যালোইজ্ঞিনচালিত করিমন গাড়ি কেনে। রাতে বাড়িতে রাখার জায়গা নেই। ভদার ছেলে নাবালক রিয়ন (১২) করিমন গাড়ি চালিয়ে প্রতিবেশী টুকুর বাড়িতে রাখতে গেলে তার চাচাতো বোন স্কুলছাত্রী পিয়া শখেরবসে গাড়িতে ওঠে। গাড়িটি টুকুর বাড়ির নিকট পৌঁছে আনাড়ি নাবালক চালক রিয়ন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচিলের সাথে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কায় যাত্রীবেশি পিয়ার ডান হাতের ৩টি আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সাথে সাথে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালের উদ্দেশে নেয় হয়। স্থানীয় চিকিৎসক বলেছেন,তার ৩টি আঙুল কেটে বাদ দিতে হবে।