মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইউক্রেনেমালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ধ্বংসের বর্তমান ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতহলেও এমএইচ১৭ ধ্বংসের কথা এখনও স্বীকার করেনি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স।আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরে যাওয়ার পথে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ারসীমান্তবর্তী গ্রামে ২৯৫ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।বিমানটিকে গুলি করে করে ভূপাতিত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেযুক্তরাষ্ট্র।মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের তরফে এক রুটিন বিবৃতিতে জানানোহয়েছে, এমএইচ১৭-র সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে ইউক্রেন এটিসিবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটারদূরে গ্রিনিচ সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিট নাগাদ বিমানটির সাথে এটিসি’র যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এদিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনো প্রকৃত কারণ এখনোজানা যায়নি। এ ঘটনায় ইউক্রেন সরকার এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াইরতরুশপন্থি বিদ্রোহী বাহিনী একে অন্যকে দুষছে। তবে বিমানটিকে প্রকৃতই ভূপাতিতকরা হয়েছে কি-না এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে বিমানটিকে গুলি করে করেভূপাতিত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে ইউক্রেন সরকারকে যে কোনো সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত।নেদারল্যান্ডসেররাজধানী অ্যামস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যাওয়ার পথে ইউক্রেনেরপূর্বাঞ্চলে ২৮০ জন এবং ১৫ জন কর্মীসহ বিধ্বস্ত হয় বোয়িং এমএইচ১৭।বিমানটিতে ডাচ, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানসহমোট নয়টি দেশের নাগরিক ছিলো। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম গ্রাবোভো, যেটিনিয়ন্ত্রণ করছে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা, সেখানে বিমানটিবিধ্বস্ত হবার পর ইউক্রেনের সরকার দাবি করেছে, বিমানটিকে মিসাইল হামলা করেভূপাতিত করেছে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা। কিন্তু ইউক্রেনের এই দাবি নাকচ করেবিদ্রোহীরা পাল্টা অভিযোগে বলেছে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনীই বিমানটিকেবিধ্বস্ত করেছে।