বিভাগ হচ্ছে ফরিদপুর ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা

খালেদা জিয়া কারাগারকেই নিরাপদ মনে করেন : শেখ হাসিনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বৃহত্তর ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাকে বিভাগ করা হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যা হচ্ছে ফেনী নিয়ে। ফেনীতে জঙ্গি নেত্রীর উত্থানের কারণে চট্টগ্রাম বা কুমিল্লার কেউই জেলাটিকে নিতে চায় না। ফেনীকে আমরা কোন দিকে দেবো? ফেনীবাসীর তো কোনো দোষ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ নিয়ে একটি বিভাগ হবে। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, মাদারীপুর, শরীয়তপুর নিয়ে একটি বিভাগ হবে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে একটি বিভাগ হবে। আর ফেনীর বিষয়ে আলোচনায় যেতে হবে। ফেনীকে আমরা কোন দিকে দেবো? ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় কুমিল্লায় থাকাই ভালো হবে। প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

অপরদিক জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারকেই বেশি নিরাপদ জায়গা মনে করেন। এজন্য তিনি আদালতে হাজিরা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার হতে চান। শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে অবস্থান করে নাটুকেপনা করে জনগণ ও কূটনীতিকদের সহানুভূতি নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। তিনি নাকি আদালতে যাবেন না। তার নাকি নিরাপত্তার অভাব। শেখ হাসিনা আরো বলেন, যিনি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তার নাকি নিরাপত্তা দিতে হবে আমাদেরকে। তারপরও দেশে যাতে আইনের শাসন চলে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারপরও আদালতে যাননি। এখন কোর্ট যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খালেদা জিয়াকে জঙ্গিনেত্রী আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যেভাবে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়েছেন, তাতে তিনি নিজেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। এ কারণে তিনি কোর্টে যান না। আইন-আদালত মানেন না। বিএনপির বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্যের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা খালেদা জিয়ার এমন জঙ্গি কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া নিজেই চাচ্ছেন, তাকে গ্রেফতার করা হোক। বিদেশি সহানুভূতি চাচ্ছেন তিনি, জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য নাজিমউদ্দিন রোডকে বেশি নিরাপদ মনে করছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তার সাথে বিএনপির বেশ কয়েকজন সাবেক এমপির কথা হয়েছে, তারাও খালেদা জিয়ার এসব জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ড পছন্দ করেন না। তারা দেশের শান্তি চান। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা বুধবার বহাল রেখেছেন আদালত। তবে এ মামলার আরেক আসামি খালেদার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পরোয়ানার স্থগিতাদেশ চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেন।