বিদ্যুতস্পৃষ্টে দামুড়হুদা চিৎলার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার চিৎলা হাসপাতাল মোড় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দেউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি চিৎলা হাসপাতালগেট সংলগ্ন শাহীন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী যুবলীগকর্মী হাসানুজ্জামান শাহীনের (৩৫) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী শাহীন দেউলী গ্রামের মাদরাসাপাড়ার নাসির হালসনার ছোট ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বসতবাড়ির কলপাড়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে সে মারা যায়। শাহীনের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনসহ শ শ মানুষ শাহীনকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ছুটে যায় দেউলী গ্রামে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত শাহীনের লাশের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এমপি টগরের সহোদর আলী মুনসুর বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি আ.স.ম দুদু ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, যুবলীগ নেতা অ্যাড. আবু তালেবসহ দলমত নির্বিশেষে হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে শাহীন ছিলেন সকলের ছোট। শাহীনের অকাল মৃত্যুতে মা দৌলত খাতুন, স্ত্রী লিপি খাতুন, শিশু দু কন্যা সিনথিয়া ও কানিজ ফাতেমাসহ স্বজনদের কাঁন্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। প্রতিবেশীরা জানান, সকালে ওই টিউবওয়েল থেকে নিহত শাহীনের পরিবারের অন্যরাও পানি তুলেছে। কিন্তু তখন বিদ্যুতায়িত ছিলো না। আর শাহীন যখন কলপাড়ে যায় ওই সময় বিদ্যুত চলে আসে এবং বিদ্যুতায়িত হয়ে সে মারা যায়। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সাইদ বলেছেন, টিউবওয়েলের সাথেই সংযুক্ত পানির পাম্পের ক্যাপাসিটর বক্সে পানি ঢুকে টিউবওয়েলটি বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই দূর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। পরিবারের লোকজন বলেছেন, সকালে বিদ্যুত না থাকায় সে টিউবওয়েল চেপে পানি তুলে গোসল করছিলেন। এরই ফাঁকে বিদ্যুত চলে আসে এবং আগে থেকে বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকা টিউবওয়েলে হাত দেয়ার সাথে সাথে তার পুরো শরীর বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এ সময় সে শুধুমাত্র মেন সুইজ অফ করার কথা বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে এবং টিউবওয়েল থেকে আছড়ে পড়েন। তার নিথর দেহ তড়িঘড়ি দামুড়হুদা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে শাহীনের মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দামুড়হুদার সকল ওষুধ ব্যবসায়ী বিকেল ৩টা খেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকন বন্ধ রেখে শোক পালন করেন।