বিদেশ পাঠানোর নামে চুয়াডাঙ্গার ৪ জনের টাকা নিয়ে পাচারের চেষ্টা

আদমব্যবসায়ী দামুড়হুদার রাফিদ দেন জালভিসা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিদেশ পাঠানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া দামুড়হুদার বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। দুই পক্ষের সম্মতিতে আপসনামা হলেও পরে তা আর মেনে নেননি বাবা ও ছেলে। বিদেশ যাওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রশিদ ও খোকন। এছাড়া অভিযুক্ত বাবা ও ছেলের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন আরও দুজন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরোজখালীর ওহিদ আলীর ছেলে রশিদ, জয়নাল আবেদিনের ছেলে খোকন, আলমডাঙ্গা দক্ষিণপাড়ার মৃত আকবার আলীর ছেলে মুনসুর আলী ও লক্ষ্মীপুরের মুনসাদ আলীর ছেলে মাহাবুল বিদেশ যাওয়ার জন্য দামুড়হুদার বাবা ও ছেলের নিকট ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন। দামুড়হুদার জুড়ানপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে রাফিদ তার পরিচিত রশিদকে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন। একপর্যায়ে রশিদ, খোকন, মুনসুর ও মাহাবুল রাফিদের তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিদেশ যেতে চান। মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে তাদের কাছে থেকে পর্যায়ক্রমে ৬ লাখ টাকা নেন রাফিদ। পরে রশিদকে একটি জালভিসা দেন তিনি। বিষয়টি রাফিদকে জানানোর পর গত বছরের ডিসেম্বরে দুই পক্ষ আপস-মীমাংসা করেন। অভিযুক্ত রাফিদ ও তার বাবা লুৎফর রহমান ওই দিন এবং দুই মাস কিস্তিতে মোট ৬৭ হাজার টাকা ফেরত দেবেন বলে উল্লেখ করা হয়। বাকি টাকা দুই পক্ষের আলোচনার পর হিসেব হবে বলেও উল্লেখ থাকে। কিন্তু টাকা না দিয়ে একেও পর এক সময় নেন রাফিদ ও লুৎফর। টাকা না পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন রশিদ। তাতেও সুরাহা না পেয়ে গত ১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন রশিদ। এজাহারে রাফিদ, তার মা আয়েশা বেগম, জোহামুন্সিপাড়ার খোকন, জেসমিনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে গত ৪ আগস্ট দুইপক্ষকে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির থাকার নোটিশে সবাই উপস্থিত হয়েও শেষে কোনো সুরাহা হয়নি। সেখানে এসআই অনুপ কুমারের সাথে কথা হয়। তবে এএসপির সাথে দেখা হয়নি তাদের। পরে থানার ওসির সাথে কথা হলেও হয়নি কোনো মীমাংসা।