বিএসএফ’র ধাওয়ায় নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় তার

 

গাংনীর মাথাভাঙ্গা নদীথেকে লাশ উদ্ধার যুবকের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন

 

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুর বাহিরমাদীর দরিদ্র শহিদুলের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বিএসএফ’র ধাওয়ায় মাথাভাঙ্গা নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়। গতপরশু মেহেরপুর গাংনীর কাজিপুরস্থ মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

জানা গেছে,কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফ’র ধাওয়ায় মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজ শামীম (২৮) নামে এক যুবকের লাশ একদিন পর মেহেরপুরের গাংনী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবার সূত্র জানিয়েছে, দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে কেরালায় দিনমজুরির কাজ শেষে ওইদিন বাড়ি ফিরছিলো। ভারতের নদীয়া জেলার মরটিয়া থানার শিকারপুরের সন্নিকটে ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে নিউ শিকারপুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের ধাওয়া করেন। বিএসএফ’র ধাওয়া খেয়ে তারা মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এতে ৫ জন সাঁতরে বাংলাদেশের ধর্মদহ সীমান্তে উঠলেও সাঁতার না জানার কারণে শামীম পানিতে তলিয়ে যায়।

পরে সাঁতরিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডেওঠা ৫ বাংলাদেশি মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে খোঁজ করে না পেয়ে শামীমের বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে নিখোঁজ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাজিপুর গ্রামের খাঁপাড়ার কাছে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।