বিএনপি না এলে তাদেরকে বাদ দিয়েই সর্বদলীয় নির্বাচনী সরকার গঠন করা হবে

মধ্য ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে চায় সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। প্রধান বিরোধীদলের সাথে সমঝোতার সম্ভাবনা মাথায় রেখেও অন্য সব ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের মতামত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, মতামত গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে নভেম্বর মাসেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী ৭ ডিসেম্বর সংসদের বর্তমান অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। আর নির্বাচনের সময়সীমা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নির্ধারণ করা হতে পারে। যদিও এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র অবশ্য জানিয়েছে যে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। এ সপ্তায় আচরণ বিধি তৈরি হয়ে যাবে। আর গতকালই জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে। সংসদ ভেঙে দিলে বা না দিলে সর্বশেষ ৫০ দিন সময় হাতে রেখে তারা নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করতে চায়।

গতকাল মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আজ বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির (সিপিবি) মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের খালেকুজ্জামানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুরু হবে।

মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট সদস্যরা জানান, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্প ধারা, কল্যাণ পার্টি, এলডিপিকেও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে মতামত নেয়ার জন্য ডাকা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কথা হবে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপির সঙ্গেও। ইতোমধ্যে সরকারের শরিক ১৪ দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কাজ শুরুর তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে অবশ্য ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য গতকালের আলোচনায় আবারও নির্বাচনকালীন সরকার সর্বদলীয়ভাবে গঠিত হওয়ার কথা পুনরুল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বিএনপি না এলেও তাদের বাদ রেখেই সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার হবে বলে তিনি জানান।

বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা: সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ১৮ দলের ডাকা হরতাল ও সহিংস পরিস্থিতি প্রসঙ্গ স্থান পায়। প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ দিতে বলেছেন। একইসাথে সারাদেশে সরকার সমর্থক নেতা-কর্মীরা যেন পুলিশকে সহযোগিতার পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেন।