বিএনপি ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করবে কাল

স্টাফ রিপোর্টার: চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ মার্চ সারাদেশের ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে স্মারকলিপি দেবে দলটি। গতকাল রাজধানী নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

সহিংসতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, চতুর্থ দফা নির্বাচনে রক্তারক্তি আর খুনাখুনিতে আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। মধ্যরাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা, দিনভর কেন্দ্র দখল, ভোট বাক্স ছিনতাই ও ব্যালট পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এই নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করে জনরায় ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে সরকার। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে উপজেলা কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করবে বিএনপি। রিজভী আহমেদ বলেন, ফেনীর রামগঞ্জ ও সদরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ-ৱ্যাবের সহায়তায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা প্রতিদিন এভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, এই কমিশন  যে অনুগত তার বড় প্রমাণ হচ্ছে- একজন নির্বাচন কমিশনার সরকারের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে এমনিতেই দেয়া হয়েছে। তারপরও তারা ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে কেবিনেট সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছেন। চতুর্থ দফা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী আহমেদ বলেন, এতো ভোট ডাকাতি ও মানুষ হত্যার পরও তিনি ভোটে শান্তি দেখতে পারছেন। এটা অদ্ভুত। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ খান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, চতুর্থ দফায় ৯১টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গোলযোগের কারণে ১১টি উপজেলার অন্তত ৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এছাড়া সহিংসতায় অন্তত চারজন নিহত হন।  চার পর্ব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭। আর বিএনপির চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১৫০।