বাল্যবিয়ের বলি হলো কাথুলীর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাল্যবিয়ের বলি হলো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী চুয়াডাঙ্গা কাথুলী গ্রামের মিতা খাতুন। বিয়ের ৪ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সে লাশ হয়ে ফিরলো বাপের বাড়ি। স্বামীপক্ষের লোকজন তাকে আত্মহত্যার কথা বললেও পিতাপক্ষের লোকজন বলেছে মিতাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আজ মিতার লাশের ময়নাতদন্ত হতে পারে।

সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের কাথুলী গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে কাথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গত ৪ মাস আগে মিতার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের শওকত আলীর ছেলে শরিফুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মিতার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী শরিফুল। এরই মধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর থেকে মিতা কোনো কথা বলতে পারেনি। ঘটনার পর মিতার বাবার বাড়িতে কোনো খবরও দেয়া হয় না। মিতাকে ওই দিন রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিতা মারা যায়। মিতার লাশ নিয়ে বিকেলে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয় মিতার পিতাপক্ষের লোকজন। আজ তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করবেন মিতার পিতা কামাল হোসেন। এ রকমই তথ্য পাওয়া গেছে।