বাল্যবিয়ের বলি রোজিনার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ : খতিয়ে দেখছে মৃত্যুর নেপথ্য

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাল্যবিয়ের বলি রোজিনা খাতুনের মৃতদেহ গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। রোজিনার স্বামীর গ্রাম চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পাঁচমাইল ভাণ্ডারদহেই দাফনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়া হয়।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের গান্না গ্রামের আয়ুব আলীর মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রোজিনার সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ভাণ্ডারদহের এলাহী বকশের ছেলে মিজানুরের বিয়ে হয়। ৬ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়েতেই অরাজি ছিলো রোজিনা। তাকে খানেকটা জোর করেই বিয়ের আসনে বসানো হয়। জোর করেই দেয়া হয় স্বামীর ঘরে। স্বামীর সংসার করতে অস্বীকৃতি জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি তার পিতা। গত ঈদে সে তার পিতার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর রোজিনা স্বামীর সংসারে আসতে না চাইলেও জোর করে গতপরশু পাঠানো হয়। স্বামীর বাড়িতে পৌঁছুনোর কিছুক্ষণ পরই রোজিনা বিষপান করে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর পর পরই মারা যায় রোজিনা খাতুন। লাশ ফেলে স্বামীর লোকজন সটকে পড়ে। পুলিশে খবর দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করেন তার পিতা। এ সময় রোজিনার পিতা বলেন, জামাই মিজানুরের কোনো দোষ নেই। নামাজি। মুখে দাঁড়ি। এসব দেখেই বোধ হয় মেয়ে রোজিনা পছন্দ করেনি।

জোর করে মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সেই বিয়ে দিয়েছিলেন কেন? জবাব দেননি রোজিনার পিতা আয়ুব আলী। তিনি খানেকটা বিরক্ত হয়ে বলেন, এতো করে পুলিশকে বললাম, আমাদের কারোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত করতে হবে না। এরপরও পুলিশ শুনলো না। পুলিশ বলেছে, অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাল্যবিয়ের বিষয়েও তদন্তের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।