বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করায় ইমামের বিরুদ্ধে কতিপয় মুসল্লির ক্ষোভ চুয়াডাঙ্গার একটি মসজিদে নামাজে দুই জামাত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জেরে একই মসজিদে দুই জামাত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। মুসল্লিগণ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন-অর-রশিদ গত ৪ বছর ধরে ওই মসজিদে ইমামতি করে আসছেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অভিযোগে বলা হয় একজন মসজিদে ইমামতি করা অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে পর্দা রক্ষা না করে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ ও বেপর্দাভাবে কথাবার্তা বলেন তাহলে তিনি ফাসেক বলে গণ্য হবেন। আর ফাসিকের জন্য খালিস দিলে তওবা না করা পর্যন্ত ইমামতি করা এবং ওই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করা মাকরুহে তাহরিমি। এমন ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে মসজিদে রাখা মসজিদ কমিটির জন্য নাজায়েজ। এরপর এলাকাবাসী জেলা উলামা পরিষদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার ১২ জন মুফতি লিখিতভাবে একই সিদ্ধান্ত দেন। এরপর এলাকাবাসী মসজিদ কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানালে কমিটি কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছে ওই ইমামকে বহাল রাখে মসজিদে। এরই এক পর্যায়ে গত তিন-চারদিন ধরে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ২০-২৫ জন মুসল্লি একই মসজিদে আলাদা জামাতে নামাজ আদায় করে আসছেন। মূল জামাতে সালাম ফেরানোর পর একটি পক্ষ আলাদা জামাত করে নামাজ পড়ছেন। এ ব্যাপারে ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। তবে কিছু মুসল্লি ইমামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করছে। যে বিদ্যালয়ে ইমাম শিক্ষকতা করেন সেখানকার মেয়েরা সব সময় পর্দার সাথে থাকে। শিক্ষার্থীদের কাছে একজন শিক্ষক পিতৃতুল্য। শিক্ষকও তাদের সন্তানের মতোই দেখে থাকেন। এ নিয়ে অভিযোগ তোলা অহেতুক এবং উদ্দেশ্যমূলক। মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা হারুন-অর-রশিদ বলেন, আসলে একটা মহল ভালো কাজের পক্ষে নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি কোনো মহল জোর করে একই মসজিদে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। মসজিদ কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।