বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব গাংনীতে

 

 

মাজেদুল হক মানিক: বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব হয়ে গেলো মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রকার পিঠা তৈরি করে বিদ্যালয়টির ছাত্রীরী। শুধু পিঠা তৈরির সৃষ্টির আনন্দই নয় পিঠা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন অনেকেই। এতে এমন উৎসব আয়োজনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আয়োজকদের মনে।

গ্রাম বাঙলার ভাষায় পুলি পিঠা, দুধ পিঠা, পাটি সাপটা, পাকান পিঠা, কেক পিঠা, গোলাপ পিঠাসহ বিভিন্ন প্রকার পিঠার সমাহর। কি পিঠা ছিলো না এখানে?অনুষ্ঠানের শুরুতেই যখন একে একে পিঠাগুলো সাজানো হচ্ছিলো তখন উপস্থিত মানুষের জিভে পানি এসে যায়। প্রাণ জুড়ানো এসব পিঠা দেখে কোনটি রেখে কোটি খাবেন তা ভেবেই দিশেহারা ছিলেন অনেকেই। তবে কেউ-ই বাদ পড়েননি। অতিথি, শিক্ষক ও ছাত্রীরা সবাই খেয়েছেন হরেক রকমের পিঠা। তৃপ্তির পাশাপাশি বারবার এমন আয়োজন করার অনুরোধ করেছেন তারা।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ছড়াকার রফিকুর রশিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালুসহ ছাত্রীরা উপস্থিত অতিথি ও ছাত্রী শিক্ষকদের মাঝে পিঠা বিতরণ করেন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ আয়োজন বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক আশরাফুজ্জামান লালু।