বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গার ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন : স্মারকলিপি পেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সকল শিক্ষকদের চাকরির পদমর্যাদা একই শ্রেণিতে রেখে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন- সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রেফাউল হক, যুগ্মআহ্বায়ক মনোয়ারা খুশি, হারুন-অর-রশীদ জুয়েল, তকারুজ্জামান ও গোলাম মোস্তফা। সভায় বক্তারা বলেন, আমরা যখন জানতে পারলাম সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদমর্যাদা এবং বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তখন আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। সকলেই এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। আমরা আশায় বুক বেধেছিলাম। কিন্তু গত ৯ মার্চ আমরা হতাশার সাথে লক্ষ্য করলাম শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদান এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যকার বেতন ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ৩ ধাপ করা হয়েছে। তাছাড়া সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদাও ৩য় শ্রেণির ধাপ অতিক্রম করেনি। সহকারী শিক্ষকরা যে তিমিরে ছিলো সে তিমিরে রয়ে গেলেন।

স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতনের পার্থক্য ছিলো ১ ধাপ। ২০০৬ সালে বেতন স্কেলের পার্থক্য বাড়িয়ে করা হয় ২ ধাপ। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন স্কেলের পার্থক্য ৩ ধাপ। ফলে ১৫ বছর চাকরি করার পর ৩টা টাইম স্কেল পেয়ে সহকারী শিক্ষকগণ বেতন পাবেন ৬ হাজার ৪০০ টাকার স্কেলে। পক্ষান্তরে প্রধান শিক্ষকগণ বেতন পাবেন ১২ হাজার টাকার স্কেলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের পর একজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মাঝে বেতনের ব্যবধান করেছিলেন মাত্র ১০ টাকা, কিন্তু বর্তমানে মূল বেতনের ব্যবধান ১ হাজার ২শ টাকা। আমরা সহকারী শিক্ষকরা মনে করি, শিক্ষক হিসেবে এ বেতন কাঠামো আমাদের জন্য অমানবিক এবং ন্যায়সঙ্গত নয়। তাছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ পূর্ব পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের চাকরির পদমর্যাদা একই শ্রেণিভুক্ত ছিলো। শিক্ষক নেতারা সে কারণে সকল সহকারী শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়।