বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি প্রতীক অনশন ও স্মারকলিপি পেশ

আব্দুস সালামকে আহবায়ক ও রেফাউল হককে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন

 

স্টাফ রিপোটার: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের চাকরির পদমর্যাদা একই শ্রেণিভুক্তসহ ১১ দফা দাবিতে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি। দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে এর আগে একই দাবিতে আধাঘণ্টা প্রতীকী অনশন পালন করে সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্যরাখেন- মোমিন উদ্দিন, শামীম হোসেন, লিটন আলী জোয়ার্দ্দার, মনোয়ারা খুশি, আ.ফ.ম মইনুল আহসান পলাশ, রেফাউল হক, আব্দুস সালাম প্রমুখ। প্রতীকী অনশন শেষে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান।

সভায় বক্তারা সহকারী শিক্ষকদের জন্য সদ্য ঘোষিত বাস্তবায়নাধীন বৈষম্যপূর্ণ বেতন স্কেল সংশোধন পূর্বক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচের স্কেল প্রদান এবং সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে সকল সহকারী শিক্ষকদের আগামী ১৩মে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার অনুরোধ করেন।

সহকারী শিক্ষকদের ঘোষিত ১১ দফা দাবির অন্যতম হলো বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৭.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২.৩০, ঢাকা মহানগরীর বাইরে সকাল ১০.০০ থেকে দুপর ৩.০০ টা, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা, শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোঠা ২৫ ভাগ নির্ধারণ করা, প্রাথমিক শিক্ষকদের সন্তানদের শিক্ষাভাতার পরিমাণ যুক্তিসঙ্গত বৃদ্ধি এবং সকল জেলাশহর ও মহানগরীতে চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা।পরে আব্দুস সালামকে আহ্বায়ক ও রেফাউল হককে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

দামুড়হুদা প্রতিনিধিজানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে মানববন্ধন করেন বেতন বৈষম্যের শিকার শিক্ষকগণ। মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ জুয়েলের নেতৃত্বে দাবিসূমহ তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সমিতির যুগ্মআহবায়ক শফিকুল ইসলাম, কালাম হোসেন, সদস্য সচিব শাফায়েত হোসেন, সদস্য আ. গনি, আহম্মদ আলী, আক্তার হোসেন, নাজমুল হুদা, মামুনুর রশিদ, শাহনাজ বেগম, আনোয়ারা খাতুনসহ প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।