বাংলাদেশে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তান : ৪ বাংলাদেশিসহ ১২ জনকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রশিক্ষকরা। শেরপুর জেলার একাধিক ঘাঁটিতে চলছে প্রশিক্ষণ শিবির। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ১২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভারতীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা-এনআইএ। এদের মধ্যে চার জন বাংলাদেশি বলে ধারণা এনআইএ কর্মকর্তাদের। গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হন, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দোদের সন্দেহ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার দু নারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা বলছেন, জেএমবি, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) ও আল জিহাদের সমন্বয়ে আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এদিকে বর্ধমানকাণ্ডের তদন্তে নেমে এ তথ্য জানতে পেরেছে এনআইএ। জঙ্গি প্রশিক্ষণে জামায়াতুল মুজাহিদিনের পাশাপাশি কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। এনআইএ’র তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্ধমানকাণ্ডে জামায়াতুল মুজাহিদিনের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে সামিল ছিলো বাংলাদেশের এই মৌলবাদী সংগঠনও। এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পচিশ-তিরিশ জনের একটি নতুন দলকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রশিক্ষকরা। প্রশিক্ষক হচ্ছেন পাকিস্তানের মাওলানা মহম্মদ আবদুল তাহির। শিবিরের ঠিকানা শেরপুর জেলা। ছয় মাসের ট্রেনিং পিরিয়ড। এমন একটি নয়, একাধিক শিবির রয়েছে বাংলাদেশে। খবর জি নিউজের। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শুধু বাংলাদেশ নয়, আসামের একটি রাজনৈতিক দলও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।