বাংলাদেশকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বেলারুশ

স্টাফ রিপোর্টার: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ওবামার বক্তব্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় প্রেসিডেন্ট ওবামার অঙ্গীকারের জন্যও তাকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওয়াল্ড্রপ অ্যাসটোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত এক সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা বারাক ওবামার এ প্রশংসা করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান। জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকারী রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের সম্মানে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, গতকাল বুধবার বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিয়াসনিকোভিচের সাথে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার এ বৈঠকে দু দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দ্বি-পক্ষীয় ইস্যু নিয়ে দু নেতা আলোচনা করেন। এ সময় বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ১৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আশ্বাস দেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ওষুধ ও কৃষিপণ্য নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ড. মিখাইল তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

ওবামার সাথে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় বিষয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ২০১৪-এ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। ওবামা ছাড়াও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মহেন্দ  রাজাপাকসেসহ সংবর্ধনায় যোগদানকারী অন্যান্য বিশ্ব নেতার সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। ওবামার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনার সাথে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা জয়কে দেখে মন্তব্য করেন যে ‘তোমাকে দেখতে সুন্দর লাগছে।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হলো ‘ডেলিভারিং অন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টিং এ ট্রান্সফরমেটিভ পোস্ট-২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা’। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের উদ্যোগে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তিরক্ষাবিষয়ক সম্মেলনে তিনি যৌথ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। একই দিনে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৪০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেবেন। নিউইয়র্কে অবস্থানের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত, নেপাল, চিলি, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে বৈঠক করবেন। অন্যবারের মতো এবারও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি ইউএস চেম্বারস ও ইউএস বিজনেস কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন।