বহিরাগত দু যুবককে ধরে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় : গ্রেফতার ৫

 

চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়ায় সঙ্ঘবদ্ধ একদল যুবকের কাণ্ড : অবশেষে পুলিশে নালিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বহিরাগত দু যুবককে ধরে হুমকির মুখে টাকা আদায় করে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ৫ যুবক। হেরোইন পাচারের অভিযোগ তুলে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। পুলিশ বলেছে, গ্রেফতারকৃতরা সঙ্ঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর। নেশার আখড়াও বসায় এরা। একাধিক মামলাও রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চুয়াডাঙ্গা মুসলিমপাড়ার আছের উদ্দীনের ছেলে জুয়েল (২৮), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার নূর ইসলামের ছেলে সাইফুল (২২), শান্তিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (১৮), বেলগাছির ইলিয়াস আলীর ছেলে মুনতাজ (২৮) ও সুরুজ মিয়ার ছেলে আলম (৩০)। এদের বিরুদ্ধে আগেও মোটরসাইকেল চুরিসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়ে বলেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে বেলগাছি রেলগেট- বলাকাপাড়া সড়কের হোমিওপ্যাথি কলেজের নিকট দুজনকে আটক করে। একটি দামি মোবাইলফোনসহ কাছে থাকা ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মোটরসাইকেলটি আটকে রাখে। হেরোইনসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক সাংবাদিককে ডেকে ছবিও তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি ঝিনাইদহ সাধুহাটির মোবারক মণ্ডলের ছেলে সাইফুল ও তার সাথে থাকা ওমর ফারুকের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনিয়ে নেয়। এরই এক পর্যায়ে সাধুহাটির সাইফুল পুলিশকে জানায়। সদর থানার ওসির নেতৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই খলিলুর রহমান, টিএসআই খায়ের, এসআই রোকনুজ্জামান, এএসআই তরিকুল ইসলাম ও এএসআই অহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান। প্রথমেই ধরা পড়ে জুয়েল। তার মোবাইলফোনের মাধ্যমে পুলিশ ফাঁদ পাতে তার সহযোগীদের। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিনেমাহলপাড়ার স’মিলের ভেতর থেকে বাকি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, ঝিনাইদহ সাধুহাটির সহিদুল ও ওমর ফারুক নামের দু যুবক শান্তিপাড়ার শিপরার বাড়ি থেকে হেরোইন কেনে। মোটরসাইকেলযোগে তারা রওনা হলে জুয়েল, সাইফুল, সোহাগ, মুনতাজ ও আলমসহ কয়েকজন আটকে মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। হাসপাতাল মোড়ের একটি বিকাশকেন্দ্রের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা আনিয়ে নেয়। টাকা জুয়েলসহ অন্যরা ভাগবাটা করে নিয়ে যখন ঘুরতে থাকে, তখনই সাধুহাটির সাইফুল ও ওমর ফারুক চুয়াডাঙ্গার অপর এক পরিচিতর মাধ্যমে বিষয়টি শহর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই খায়েরের নিকট জানানো হয়। তিনি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেন।