বলা হলো গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা : ময়নাতদন্তে মিললো মুখে বিষের গন্ধ

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের পাঁকায় নববধূর মৃত্যু রহস্য উন্মোচনে পুলিশি তদন্ত শুরু

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া পাঁকা গ্রামে স্বামীগৃহে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ফাতেমা খাতুন নামের এক নববধূর। স্বামীগৃহের লোকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও ময়নাতদন্তে পাওয়া গেছে মুখে বিষের গন্ধ। ফলে মৃত্যু রহস্য ঘনিভূত হয়েছে। ফাতেমা খাতুনের পিতাপক্ষ এ ঘটনাকে হত্যাকা- বলে দাবি তুলেছেন। পুলিশ বলছে, হত্যা না আত্মহত্যা তা ভিসেরা রির্পোট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের মৃত নবী সরদারের ছেলে পশু চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের সাথে ২ মাসে আগে কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস গ্রামের ফুলতলা পাড়ার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের বিয়ে হয়। নববধুর স্বামী হাবিবুর রহমান দাবী করছেন, গত শনিবার বেলা ১ টার দিকে তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন সকলের অলক্ষ্যে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি বেঁেধ আত্মহত্যা করে। এ মর্মে জীবননগর থানায় অপমুত্য মামলা করা হয়। থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদ রহমানের নির্দেশে শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই বাবুল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ দানা বাধে। লাশ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক সুরাতহাল রির্পোট প্রণয়ন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। সুরাতহাল রির্পোটে গলায় ক্ষত চিহৃ ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্য বলে মন্তব্য করা হয়। গতকাল রোবারার দুপুরে হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তকালে গলায় ফাঁসের বিষয়টিকেই প্রথম দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। ডোম রাম লাশের মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে চিকিৎসককে জনালে বিষয়টি ভিন্ন দিকে মোড় নে। সন্দেহ দেখা দেয়ায় চিকিৎসকগনের পরার্মশে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে নববধুর লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সুত্র জানান, গত শুক্রবার নববধু ফাতেমা তার মামাতো বোন কল্পনাকে ফোন করে বলেন, আমি খুব কষ্টে আছি, তোরা আমাকে এখান থেকে নিয়ে যা। অপর একটি সুত্র জানান, ফাতেমা সম্প্রতি বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসতে না চাইলে তার পিতা ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামী গৃহে পাঠিয়ে দেন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসার সময় রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানে ফাতেমা বলেছিল লাশ হয়ে ফিরবো বলে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। মেয়েটি যে বোল, সে কিরে করে, সে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই বাবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ময়না তদন্ত রিপোট হতে পেলে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শামীম কবীর জানান পুলিশ তাদের সুরোতহাল রিপোর্টে গলাই ফাস দেওয়ার কথা উল্লেখ করলে সেই মোতাবেকই ময়না তদন্ত করা হয়। পরে মুখে বিষের গন্ধ পাওয়ার কারণেই আবারও ময়না তদন্ত করা হয়েছে।