ফেলে দেয়া থুতু চেটে খেলেন

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মিথ্যাচার করে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। এখন উপজেলা নির্বাচনে এসেছেন। তিনি যে থুতু খাবেন না বলে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই থুতুই আবার চেটে খেলেন।

গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বক্তব্যে শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার এক কান কাটা, সে বাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটে। আর যার দু কান কাটা যায়, সে হাঁটে বাড়ির উঠান দিয়ে। উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা হয়েছে তাই। উনার চক্ষুলজ্জাও নেই। কখন কী বলেন, তারও ঠিক নেই। তাকে (খালেদা জিয়াকে) মানুষের কাছে নাকে খত দিয়ে তওবা করতে হবে, এ ধরনের কথা তিনি আর বলবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি (খালেদা জিয়া) উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দিয়েছিলেন। এখন সেই উপজেলা নির্বাচনে এলেন। এরপর আর উনার কথা মানুষ বিশ্বাস করবে না। মিথ্যাবাদীর কথা কেউ বিশ্বাস করে না।

যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে, সে নির্বাচন নিয়েও তারা মিথ্যাচার করছে। যেকোনো নির্বাচনে কেউ হারে, কেউ জেতে। কে জিতলো কে হারলো, সেটি বড় কথা নয়। আসল কথা হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি-না।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনে বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীর আন্দোলন মানেই হচ্ছে ধ্বংস, নৈরাজ্য আর মানুষ হত্যা। উনার নির্দেশে গরু আর মানুষ একসাথে পুড়িয়ে মারা হলো। দিনের পর দিন মানুষ হত্যা করে তিনি কতো মায়ের কোল খালি করলেন। কতো মেয়েকে স্বামীহারা, কতো বোনকে ভাইহারা করলেন। পোড়া যন্ত্রণা নিয়ে এখনো কতো মানুষ বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষ হত্যা করে উনি ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন, পারেননি। তিনি মিথ্যাচার করে বিদেশি পত্রিকায় আর্টিকেল লিখে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছেন। কৃষক-শ্রমিক ও মজুরের পেটে লাথি মেরেছেন। এর ক্ষতিপূরণ খালেদা জিয়াকেই দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অনেক নেতা বলেন, বর্তমান সরকার নাকি অবৈধ। জাতীয় নির্বাচনে যেসব জায়গায় নির্বাচন হয়নি, মানুষ ভোট দেয়নি। কিন্তু যেসব জায়গায় নির্বাচন হয়েছে, ৪০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে। এই সরকারকে কীভাবে অবৈধ বলা হয়? বর্তমান সরকার অবৈধ বিএনপির এমন বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান তো অস্ত্র ঠেকিয়ে ক্ষমতা দখল করলেন, সেটি কী? তিনি হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ১১০ ভাগ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি হলেন! বাংলাদেশের জনসংখ্যার অধিক ভোট পেয়েছেন তিনি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধ পন্থায় বিএনপি গঠন করেছেন। অবৈধ পথে যে দলের জন্ম তারা কীভাবে অন্যকে অবৈধ বলে? তাদের দলের জন্ম অবৈধ পন্থায় হওয়ায় তারা সবকিছুতেই অবৈধ দেখেন।

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, এমএ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।