ফার্স্টক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 

 

ইসলাম রকিব: জাঁক-জমকপূর্ণ আয়োজন, ব্যান্ডদলের বাজনার তালে তালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর কেক কর্তনের মধ্যদিয়ে ফার্স্টক্যাপিটাল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য ড. এম ওবায়দুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ট্রেজারার প্রফেসর আ. মোত্তালিব। পতাকা উত্তোলনের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বর্ণার্ঢ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন উপাচার্য ড.এম ওবায়দুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ট্রেজারার প্রফেসর আ. মোত্তালিব, রেজিস্ট্রার প্রফেসর হারুন-অর-রশীদ, পরিচালক (অর্থ) প্রফেসর আব্দুল মজিদ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাফিউল ইসলাম জোয়ার্দ্দার শান্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা সদস্য সাংবাদিক ইসলাম রকিব ও আলী ইকবাল জোয়ার্দ্দার বাবু। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বের হয়ে চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোড়, রেলস্টেশন রোড, সরকারি কলেজ রোড, কোর্টরোড, কেদারগঞ্জ ফিরোজ রোড থেকে ফিরে শহীদ হাসান চত্বর, পৌরসভা মোড়, কবরীরোড হয়ে আবারো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফিরে আসে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ, আইন অনুষদ, ইংরেজি বিভাগ, বিবিএ, বিপিএইচ ও কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিজস্বসাজে সজ্জ্বিত হয়ে নেচে-গেয়ে  শোভাযাত্রাকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। শোভাযাত্রাটি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বাসভবন এলাকায় গেলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শোভাযাত্রার অংশগ্রহণ করেন তিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। বেলা ১১টায় আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেককর্তন করেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এসে। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলাদা-আলাদাভাবে কেক তৈরি করে মনোরম পরিবেশে তা কাটার ব্যবস্থা করেন। চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অনুষদের শিক্ষকদের নিয়ে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি নিভিয়ে কেক কাটেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। কেক কাটা শেষে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান বলেন, মাত্র দু বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৭’শ। যা বাংলাদেশের যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া-লেখার মান ভালো হলে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সেজন্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তাদের ভালো পড়া-লেখা করানোর জন্য পরিশ্রম করতে হবে।