ফলোআপ: দামুড়হুদায় শিশু অপহরণকারী মকবুলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

 

কোষাঘাটার জালাল সিদ্দিক ও মাসুম জড়িত

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কোষাঘাটা থেকে অপহৃত শিশু আব্দুল্লাহকে অপহরণকারী মকবুল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। জবানবন্দি প্রদানের সময় ওই ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে কোষাঘাটার মৃত জড়ান মণ্ডলের ছেলে জালাল, একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে সিদ্দিক ও খবির উদ্দিনের ছেলে মাসুমের নাম প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তোবারেক আলী মুখ খোলেননি।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, একজন আসামি শত্রুতাবশতও নাম বলতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এরা জাড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্য মিথ্যা যাচাই করা হচ্ছে। এদিকে অপহরণকারী মকবুল প্রায় একসপ্তা আগে আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকালীন ওই তিনজনের নাম প্রকাশ করলেও পুলিশ তাদেরকে এখনও পর্যন্ত কেন ধরছে না? কেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গ্রামবাসীরা আরো বলেছে, যদি গ্রামের কেউ জড়িতই না থাকবে তাহলে যেদিন শিশু আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হলো সেদিন এবং তার পরের দিন কোষাঘাটায় কখন পুলিশ এলো? কখন সাংবাদিক এলো? কে কি বলছে? তা মকবুল ওই নাটোরের লালপুর থেকে কীভাবে জানলো? অভিযুক্ত ওই তিনজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হোক সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীর এতোটুকুই দাবি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কোষাঘাটা গ্রামের আব্দুল খালেক ওরফে হ্যাবার ছেলে আব্দুল্লাহকে মুজিবনগর বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কৌশলে অপহরণ করে তাকে লালপুরের দুরদরিয়া গ্রামে নিয়ে যায় মকবুল এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে জানার পর হ্যাবা তার একমাত্র ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে অপহরণকারী মকবুলের সাথে দেনদরবার অব্যহত রাখার পাশাপাশি থানা পুলিশের সহায়তায় মোবাইলফোন ট্র্যাকিঙের মাধ্যমে চালানো হয় উদ্ধার অভিযান। অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৩টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই তোবারেক আলী কনস্টেবল রবিউল সেলিম মিয়া, অপহৃত শিশুর চাচা সহিদুল ও চাচাতো ভাই আরিফকে সাথে নিয়ে মাইক্রোযোগে রাত ৯টার দিকে নাটোরের লালপুরে পৌছান। প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাঁয়ে হাটার পর দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বাঘা থানার পার্শবর্তী ব্যাঙের বাজার নামক এলাকা থেকে অপহরণকারী মকবুল ও তার ছোট ছেলে জনিকে আটক করে পুলিশ। মকবুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নাটোরের লালপুরের দুরদরিয়া গ্রামের মকবুলের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অপহৃত শিশুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ি থেকেই মকবুলের বড় ছেলে জয়কেও আটক করে পুলিশ।