ফলোআপ: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে কথিত কবিরাজের ওষুধ সেবনে মৃত্যু

 

 

বাদকে হুমকি :তদন্ত কর্তা বদলানোর জন্য আবেদন

দামুড়হুদা অফিস: কুয়েতি জিন ভর করা ভণ্ড কবিরাজ রোজিনা জেলহাজতে। তার সহযোগী মুকুলসহ অন্যরা মামলার বাদীকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে ঘুরছে। এ অভিযোগ তুলে মামলার বাদী তদন্তকর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্টসূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মুকুল অর্থশালী হওয়ায় সে হুমকি দিয়ে মামলা থেকে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।

দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরের রোজিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর কুয়েতি জিন ভর করে বলে ভণ্ডামি করতে থাকেন। সর্বরোগের চিকিৎসাও দিতে থাকেন তিনি। জিনের সহযোগিতায় বিদেশে যাওয়ার ভিসা দেয়ার কথা বলেও অনেকের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকেন রোজিনা। এরই এক পর্যায়ে রোজিনার নিকট থেকে বটিকা ও দাওয়ায় নিয়ে সেবনের পর গত ১৬ জুলাই মারা যান একই গ্রামের দিনমজুর আনছার আলী। গ্রামের জনগণ রোজিনাকে আটকে পুলিশে দেয়। জনতার সমানে রোজিনা খাতুন গ্রামেরই প্রবাসফেরত মুকুলের প্ররোচণায় আনছার আলীকে অসুস্থ করার জন্য বটিকা দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। ওইদিন রাতেই আনছার আলীর ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরদিন আনছার আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। মামলার বাদী সুজন অভিযোগ করে বলেছেন, আমাদের ভিটের জমিটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। ওই জমি অল্প টাকায় হাতিয়ে নেয়ার জন্যই প্রতিবেশী মুকুলসহ তার লোকজন ষড়যন্ত্র করে গ্রামেরই ভণ্ড মহিলা কবিরাজ রোজিনার মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ সেবন করায়। সুস্থ হয়ে উঠবে বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে চিকিৎসকের নিতেই বাধা দেয়। মারা যান আব্বা। মামলা করা হলে গত পরশু ২৩ জুলাই বেলা ২টার দিকে আসামি মুকুলের ভায়ের শ্বশুর নতিপোতা গ্রামের ঠাণ্ডু তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে, যেকোনো আসামিদের বিরুদ্ধে তোমরা কোনো মামলা করলে তোমাদের খুন করে ফেলবো।

মামলার বাদী আরো বলেছেন, প্রথমে শোনা যাচ্ছিলো ৫০১ টাকা নিয়ে রোজিনা ওই বিষাক্ত ওষুধ দিয়ে আমার আব্বাকে হত্যা করেছে। কিন্তু না, পরে শোনা যাচ্ছে, মুকুলের নিকট থেকে অর্ধলাখ টাকা নিয়ে রোজিনা পরিকল্পিতভাবে আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আসামির লোকজন আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তেও গড়িমসি চলছে। এ কারণেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিতনের জন্য আবেদন করেছি।