ফলোআপ: চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদার কথিত দু আদমব্যাপারীর প্রতারণার শিকার ৪ যুবক

 

 

নিহত শাহাদতের বাড়িতে চলছে কান্নার মাতম : হুমকিধামকি অব্যাহত

স্টাফরিপোর্টার: কথিত দু আদমব্যাপারী ছাদেক ও জামিরুলের প্রতারণার শিকার হয় চুয়াডাঙ্গা সদরের খাড়াগোদা গ্রামের ৪ যুবক। অনেক কষ্টে পানিপথে ৩ যুবক থাইল্যান্ডে পৌঁছুলেও যুবক শাহাদতকে মেরে সাগরের পানিতে ফেলে দিয়েছে বলে যুবক শাহাদতের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয় অভিযোগ। শাহাদতের লাশটি ফেরত পেতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। অভিযুক্ত প্রভাবশালী কথিত আদমব্যাপারী ছাদেক ও জামিরুল হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে নিহত শাহাদতের পরিবারের ওপর। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে শাহাদতের পরিবারের সদস্যদের।

জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের ৪ যুবক সোনাই মণ্ডলের শাহাদত হোসেন, লতিবের ছেলে সুজাত, আলমের ছেলে তরিকুল ও তহিদের জামাই চিটাগাং হয়ে বার্মাদিয়ে পানিপথে মালয়েশিয়ায় নেয়ার উদ্দেশে থাইল্যান্ড পর্যন্ত নিয়ে যায় একই গ্রামের প্রভাবশালী আসমান মণ্ডলের ছেলে ছাদেক আলী ও আফসার মণ্ডলের ছেলে জামিরুল ইসলাম।এমনি অভিযোগ করে সোনাই মণ্ডলের ছেলে সিদ্দিক বলেন, ভাইকে নেয়ার পর ছাদেক ও জামিরুল আমার নিকট ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিষদ করার দাবি তোলে। আমি ১ লাখ টাকা পরিষোধও করি। হঠাত খবর আসে আমার ভাই শাহাদতকে দালালরা হত্যাকরে সাগরের পানিতে ফেলে দিয়েছে। ছাদেক ও জামিরুল হত্যার বিষয়টি জানলেও বাকি টাকা আদায়ের জন্য কথাটি গোপন রাখে। ভাইয়ের লাশটি ফেরত পেতে তাদের কাছে গেলে আমাদেরকে পাত্তায় দিচ্ছেনা। উপরন্ত আমাদেরকে বিভিন্নভাবে দিচ্ছে হুমকি-ধামকি। চরম নীরাপত্তা হীনতায় দিন কাটছে আমাদের।

এদিকে শাহাদতের লাশটি বাড়িতে ফেরত না আসায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম। শাহাদতের স্ত্রী মুক্তা নির্বাকার হয়ে পড়েছেন। কোলের দেড় বছরের শিশু সন্তানটি জানে না তার বাবা কোথায়। হতদরিদ্র শাহাদতের পরিবারের একটাই দাবি লাশটি যেন আমরা ফেরত পায়। এদিকে গ্রামবাসী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি তুলে বলেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে আর কোনো পরিবারকে এমন প্রতারণার শিকার হতে হবে না।