ফলোআপ: কেশবপুরের এনামুলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম মামলায় আটক দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ : বড় ছিপ দা উদ্ধার

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কেশবপুরের যুবলীগকর্মী এনামুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার মামলায় আটক খাঁপাড়ার বজলু খাঁর ছেলে সুজন ও একই পাড়ার সবুর খাঁর ছেলে কাওছারকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের উভয়কেই জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এদিকে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত প্রায় এনামুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল রাত ৯টার দিকে মাথায় অপারেশন করানো হলেও তার অবস্থা এখনও পর্যন্ত আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। থানা পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বড় ছিপ দা উদ্ধার করেছে।

উল্লেখ্য, গতপরশু সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দামুড়হুদার কেশবপুর গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে দু সন্তানের জনক যুবলীগকর্মী এনামুল দামুড়হুদার খাঁপাড়াস্থ কুটির পাড়ার রাস্তা দিয়ে নিজ বাড়ি কেশবপুর ফেরার পথে কুটির পাড়ার রাস্তার ওপর খাঁপাড়ার ৭ যুবক তার পথরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার ডান হাতের কবজি থেকে কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া তার মাথা, চোয়াল, পিঠসহ সারা শরীর ধারালো অন্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দুর্বৃত্তরা। পথচারীরা এনামুলকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। থানা পুলিশ বিষয়টি শোনার সাথে সাথে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যায় এবং এনামুলের জবানবন্দি রেকর্ড করে। এনামুল ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনের নাম প্রকাশ করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই খাঁপাড়ায় গ্রেফতার অভিযান শুরু করে এবং রাত ১২টার দিকে খাঁপাড়ার বজলু খাঁর ছেলে সুজন ও একই পাড়ার সবুর খাঁর ছেলে কাওছারকে গ্রেফতার করে। আহত এনামুলের মা আবেদা বেগম বাদি হয়ে দামুড়হুদা থানায় খাঁপাড়ার মৃত সোনাই খাঁর ছেলে শফি (৪৩), একই পাড়ার সবুর খাঁর ছেলে কাওছার (২৪), মৃত ফকির খাঁর ছেলে কালু (৩৮), খোকনের ছেলে সোহেল (২৮), বজলু খাঁর ছেলে সুজন (২৫) এবং কেশবপুরের আলেফ খাঁর দু ছেলে জাহাঙ্গীর ( ২৮) ও সোহেল (২৬) এ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল থেকে গতকাল সন্ধ্যায় একটি বড় ছিপ দা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।