প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা এসইডিএফ

আলমডাঙ্গার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল খুলে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২৫টি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল খুলে শিক্ষক নিয়োগ ও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে এসইডিএফ বাংলাদেশ নামক এনজিও’র কর্মকর্তারা। বেশ কিছুদিন ধরে এসইডিএফ বাংলাদেশের আলমডাঙ্গা শাখা অফিসার ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার স্বরূপপুরের আব্দুস সালাম ও চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক কর্মকর্তা নওগাঁর আলমগীর হোসেন অফিসে তালা ঝুলিয়ে গাঢাকা দিয়েছেন।২৫টি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ নিয়োগকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

জানাগেছে,প্রায় ৬ মাস পূর্বে আলমডাঙ্গা শহরে এসইডিএফ নামের এক ভুঁইফোঁড় এনজিও’র আবির্ভাব ঘটে। তারা আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ এলাকার পাশে অফিস ভাড়া নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে।গ্রামে গ্রামে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল খওলার ঘোষণা দিয়ে টাকার বিনিময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষক নিয়োগ দেয়। উপজেলায় মোট ২৫টি স্কুল খুলে ২৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়।শর্ত দেয়া হয় প্রত্যেক স্কুলে ৬০ জন শিক্ষার্থি ভর্তি করতে হবে। বই থেকে শুরু করে সবকিছু এনজিও দেবে।শুধু প্রত্যেক শিক্ষার্থিকে এককালীন ১শ করে টাকা দিতে হবে।এরকম চটকদার প্ররোচনায় শিক্ষার্থী জোগাড় হতে মোটেও অসুবিধা হয়নি। অসচেতন অভিভাবকরা একবারও বিবেচনা করে দেখেননি যেকোনোভাবে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস একজন শিক্ষক আদৌ ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে পারবেন কি-না?গত জানুয়ারি মাস থেকে উপজেলায় মোট ২৫টি স্কুল চালু করা হয়।নিয়োগকৃত প্রত্যেক শিক্ষককে ২ হাজার টাকা করে বেতন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও নানা বাহানায় নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বেতনের একটি টাকাও দেয়া হয়নি।বেতনের জন্য প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শিক্ষকরা আলমডাঙ্গা শহরে গিয়ে অফিসে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।এমনকি শিক্ষকরা তাদের নিয়োগদানকারী এসইডিএফ বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা শহরের কাউন্সিলপাড়াস্থ আঞ্চলিক অফিসেও চড়াও হতে থাকে। এরই একপর্যায়ে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। মোবাইলফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না আলমডাঙ্গা শাখা অফিসের কর্মকর্তা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুরের আন্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুস সালাম কিংবা চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা নওগাঁর আলমগীর হোসেনকে।

প্রতারিত শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, ২৫ জন শিক্ষক নিয়োগের ও ২৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসইডিএফ এনজিও অফিসে তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তারা এখন লাপাত্তা।বিপাকে পড়েছেন নিয়োগকৃত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।