প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ ক্যাম্প থাকায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের দুর্ভোগ

চুয়াডাঙ্গার শম্ভুনগর পুলিশ ফাঁড়ির ৩০ হাজার ইটের মধ্যে ২৭ হাজার উধাও!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল গ্রামে শম্ভুনগর পুলিশ ক্যাম্প ভবন তৈরির জন্য সংগৃহীত ৩০ হাজার (১৫ গাড়ি) ইটের বেশির ভাগই লুট হয়ে গেছে। কে বা কারা ইটগুলো নিয়ে গেছে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যবসায়ী আসাদুল হক বিশ্বাস গত ৯ মার্চ জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় শম্ভুনগর ক্যাম্প ভবন তৈরির জন্য ৩০ হাজার ইট সংগ্রহের কথা জানান। অথচ সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে তিন হাজারের মতো ইট পড়ে আছে। এমতাবস্থায় বাকি ২৭ হাজার ইটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসকবলিত শম্ভুনগর গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে ১৯৯৭-৯৮ সালে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপিত হয়। কিন্তু কোনো ভবন না থাকায় স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন থেকে ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। গত ১৭-১৮ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়েই ক্যাম্প পরিচালনা হয়ে আসছে। এতে বিদ্যালয়ের চারশতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হয়।

এদিকে স্থায়ী ক্যাম্পভবন তৈরির স্বার্থে এলাকাবাসীর উদ্যোগে শম্ভুনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫০০ মিটার দূরে দত্তাইল গ্রামে ৪৫ শতক জমি ক্যাম্পের নামে লিখিত দেয়া হয়। ক্যাম্পভবন তৈরির জন্য ২০০৭ সালে একলাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। ওই টাকায় তৎকালীন সময়ে ইট ও বালি কেনা হয়। দত্তাইল গ্রামের হাজি আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, সংগৃহীত অর্থে ১১ ট্রাক ইট ও কিছু বালি কেনা হয়। কিন্তু নানা কারণে দীর্ঘসূত্রতায় ভবন নির্মাণ হয়নি। মালেক মোল্লা নিজেও স্বীকার করেন যে, ইটের খামাল থেকে অনেক ইট চুরি হয়ে গেছে।

শম্ভুনগর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই রফিকুর রহমান জানান, পুলিশ ক্যাম্পের জায়গায় বর্তমানে দু থেকে তিন হাজার ইট আছে। বাকি ইটের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে স্থায়ী নিজস্ব ভবন হলে ভালো হয়।