প্রাথমিকে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার: গতকাল সোমবার সারাদেশে একযোগে প্রকাশিত হয় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল। এ বছর পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এ সমাপনী পরীক্ষা। তৃতীয়বারের মতো জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ)’র ভিত্তিতে প্রকাশ করা হলো ফল। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিবছর পাসের হার বেড়েই চলছে। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৮ হাজার ১৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৭ হাজার ৮৩০ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৯৮২ জন। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এক হাজার ৫৪৬ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে এক হাজার ৪৭৩ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯জন। ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২৫৩ জন অংশ নিয়ে ১৫৩ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি ভি.জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি থেকে ২৭৮ জন অংশ নিয়ে ১৪০ জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে,  এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ৮ হাজার ২১৭ জন ছেলে অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮ হাজার ৬০  জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬৫ জন। এছাড়া  ৯ হাজার ৯৫৩ জন বালিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯ হাজার ৭৭০ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১৭ জন। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৭২৫ জন ছেলে অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৯৬ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। এছাড়া ৮২১ জন বালিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৭৭ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বালক ১৯০ ও বালিকা ২০৩, আলমডাঙ্গা উপজেলায় বালক ১৪৫ ও বালিকা ১৫৬, দামুড়হুদা উপজেলায় বালক ৮০ বালিকা ৯৪ এবং জীবননগর উপজেলায় বালক ৫০ ও বালিকা ৬৪। ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সদর উপজেলায় বালক ৬টি ও বালিকা ৫, আলমডাঙ্গায় বালক ১ ও বালিকা শূন্য, দামুড়হুদায় বালক ৩ ও বালিকা শূন্য এবং জীবননগরে বালক ৪ ও বালিকা শূন্য। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সরকার জানান, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ফলাফল সবচেয়ে ভালো হয়েছে। গতবার সমাপনীতে পাসের হার ছিলো ৯৭ দশমিক ৩৫ এবং ইবতেদায়িতে ছিলো ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এবার প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৩০ হাজার ২২০। এবার ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৫৩ জন। গতবারের মতো এবারও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে দেশের সাতটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ পাসের হার বরিশালে- ৯৯ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বিভাগে-৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতবার বরিশালে পাসের হার ছিলো ৯৯ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বিভাগে ৯৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গতকাল দুপুর ১টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক, মানসিক চাপ ও ঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে। এবার দেশের ৮৭ হাজার ১৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৩২ জন। প্রাথমিকে পাস করে ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪২ জন। এছাড়া ইবতেদায়িতে (সংযুক্ত ইবতেদায়ি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি) ১১ হাজার ৭৭১টি মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ৩ লাখ ২২ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত হয়। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৯ জন। ইবতেদায়ীতে পাস করে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৭২ জন। গতকাল ফল প্রকাশের পর পরই স্কুলগুলোতে শুরু হয় সাফল্য উদযাপন-ক্ষুদে বিজয়ীদের হৈ-হুল্লোর, বাঁধভাঙা আনন্দে মাতামাতি। স্কুল প্রাঙ্গণে সেই আনন্দের অংশীদার হন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। নামি-দামি স্কুলগুলোতে আনন্দের মাত্রা ছিলো আরো বেশি। ড্রামের তালে তালে নেচে-গেয়ে শিশুরা আনন্দ-উল্লাস করে। রাজনৈতিক প্রতিকূল অবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে না গিয়ে মোবাইলফোন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করে। খুলনা বিভাগের পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ২ লাখ ৬৮ হাজার ১২২ জন। গড় পাসের হার ৯৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ হাজার ৫৯৪ জন। দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান একযোগে সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে উপজেলার সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ডিআরভুক্ত মোট ১৪৮টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৫৬ জন বালক এবং ২ হাজার ৫৬০ জন বালিকার মধ্যে ২ হাজার বালক এবং  ২ হাজার ৪৭৭ জন বালিকা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৯৬৮ জন বালক এবং ২ হাজার ৪৩৪ জন বালিকা পাস করেছে। বালক ফেল করেছে ৩২ জন এবং বালিকা ৪৩ জন। পাসকৃত বালক বালিকাদের মধ্যে ৮০ জন বালক এবং ৯৪ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে। মোট ১৪৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দামুড়হুদা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শতভাগ পাসসহ ২৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উপজেলায় শীর্ষস্থান লাব করেছে। পাশের হার বালক ৯৮ দশমিক ৪০ এবং বালিকা ৯৮ দশমিক ২৬। অপরদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ডিআরভুক্ত মোট ১৩ মাদরাসার ২৪৮ জন বালক এবং ৩৫৫ জন বালিকার মধ্যে ২০৬ জন বালক এবং ২৯৬ জন বালিকা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২শ জন বালক এবং ২৮৩ জন বালিকা পাস করেছে। বালকে ফেল করেছে ৬ জন এবং বালিকা ১৩ জন। পাসকৃত বালক বালিকাদের মধ্যে ৩ জন বালক জিপিএ-৫ পেয়েছে। বালিকাদের মধ্যে কেউই  জিপিএ-৫  পায়নি। পাসের হার বালক ৯৭ দশমিক ০৯ এবং বালিকা ৯৫ দশমিক ৬১ ভাগ। মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক (পিএসসি) ও ইবতেদায়ী সমাপনীর (ই.এস.সি) ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলার ৩৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছরে জেলায় ১১ হাজার ৪৭৩ জন ছাত্র-ছাত্রী পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১১ হাজার ১২৯ জন। পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮২৩ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮০ জন, গাংনী উপজেলায় ৪৮০ জন ও মুজিবনগর উপজেলায় ৩৩ জন রয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯৫ জন। এছাড়াও জেলায় ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৭৭৭ জন অংশ নেয়। কৃতকার্য হয়েছে ৭১৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৬ জন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১০৯টি বিদ্যালয় থেকে ৪ হাজার ৫৯৯ জন ছাত্র-ছাত্রী পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৭ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৫১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮০ জন। মুজিবনগর উপজেলার ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এক হাজার ৭৭৬ জন পিএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে এক হাজার ৬৪১ জন। পাসের হার ৯২দশমিক ৩৪। শতভাগ পাশ করেছে জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট একাডেমীসহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবতেদায়ি ৪টি মাদরাসার ১০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭৮ জন। পাশের হার ৭৬ দশমিক ৪৭ ভাগ, গাংনী উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার পাসের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৫৫ভাগ। এ উপজেলায় ৫ হাজার ২০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ২৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮০ জন। এবতেদায়িতে ২৪৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৩৪ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৬৬ ভাগ। জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, চলতি বছর অনুষ্ঠিত ৫ম শ্রেণির শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলাফর প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২ হাজার ৭৩৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২ হাজার ৬৯২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৪ জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৩৮ ভাগ। ইবতেদায়ি পরীক্ষায় ৩২২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩০৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৯৩ ভাগ। শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সর্বাধিক ৩৩টি জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশের রেকর্ড গড়ে উপজেলার সেরা স্কুলের খেতাব জিতেছে এবার আকলিমা প্রি ক্যাডেট স্কুল। এছাড়াও ১২টি জিপিএ-৫ পেয়ে হাসাদাহ শিশুকুঞ্জ মডেল একাডেমী দ্বিতীয়, ৮টি জিপিএ-৫ পেয়ে ধোপাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয়, ৭টি জিপিএ-৫ পেয়ে শাপলাকলি আদর্শ শিশু বিদ্যাপীঠ চতুর্থ, ৫টি জিটিএ-৫ পেয়ে পৌর কিন্ডার গার্টেন উপজেলায় ৫ম স্থান অধিকার করেছে। মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর উপজেলায় ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৭৭৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬৪১ জন। পাশের হার ৯২ দশমিক ৩৪ ভাগ। শতভাগ পাস করেছে জিনিয়াস প্রি-ক্যাডেট একাডেমীসহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মোট এ প্লাস পেয়েছে ৩৩ জন। ইবতেদায়িতে ৪টি মাদরাসার ১০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭৮ জন। পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৭ ভাগ। গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলায় প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৫৫ ভাগ। ২০১টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ২০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫ হাজার ২৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮০ জন। ইবতেদায়িতে ৩২৬ জনে পাস করেছে ২৭৬ জন। পাসের হার ৯৫ ভাগ। ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল সালাম প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে ফলাফল তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাফিজুর রহমানসহ শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দ। আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, এ বছর অনুষ্ঠিত পিএসসি পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা উপজেলায় পাসের হার শতকরা ৯৭ প্রায় ভাগ। মোট ৫ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৭৮০ জন। এ প্লাস পেয়েছে ৩০১ জন। শতভাগ পাশসহ  সর্বাধিক ৩৯টি জিপিএ-৫ পেয়ে বরাবরের মতো এবারও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইবতেদায়ি পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ৯৪ ভাগ। মোট ৩৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩১৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। উপজেলার পৌর এলাকায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৬ জন। আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ জন, আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন, এরশাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন, বণ্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন, ব্রাইট মডেল স্কুলে ১০ জন, আল ইকরা ক্যাডেট একাডেমীতে ২১ জন, শিশু নিকেতনে ১৬ জন, কলেজিয়েট স্কুলে ৮ জন, হলি চাইল্ড প্রি ক্যাডেট ১ জন, আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেনে ১ জন।