প্রস্তুতিসভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন বললেন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কোনরকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো রকম অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বিগত পরীক্ষায় যেসব শিক্ষক বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে এবার তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। কোন শিক্ষক কোন কেন্দ্রে যাবেন এবং কোন কক্ষে দায়িত্ব পালন করবে তা কঠোর গোপনীয়তার সাথে নির্ধারণ করা হবে। এরপরও কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ মিললে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

গতকাল রোববার বিকেল চারটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক উপরোক্ত মন্তব্য করেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিতর্কমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিগত পরীক্ষায় অনিয়মের কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এবার পরীক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে। কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। আমাদের এবারের লক্ষ্য থাকবে প্রকৃত মেধাবী দেখে শিক্ষক নিয়োগ, কোনো কেলাস মার্কা লোককে আমরা শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই না। বোরকার আড়ালে মাইক্রোফোন ব্যবহার করে পরীক্ষায় নকলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বোরকা পরাতে আপত্তি নেই। তবে যারা বোরকা পরবেন, পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে কান কোনোভাবেই ঢেকে রাখা যাবে না।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রফেসর অধ্যক্ষ মো. রহমত আলী বিশ্বাস, সরকারি মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সরকার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ উদ্দিন বিশ্বাস, ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহজাবীন ও প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি।

সভায় জানানো হয়, প্রতিটি কেন্দ্রের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা শেষে সবকটি কেন্দ্র থেকে খাতা প্যাকেট হয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আনা হবে। এরপর ঢাকায় পাঠানো হবে।

আগামী ৮ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১০ থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালে কোনো প্রকার ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইলফোন, পার্টস, বই, নোট, কাগজপত্র, ইলেকট্রনিক্স ঘড়ি, ডিভাইস, এয়ারফোন নিয়ে যেতে পারবেন না। মোট ১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এজন্য ৩২০ জন পরীক্ষক দায়িত্ব পালন করবেন।