প্রবাসী নারীকে কুপিয়ে ৮ ভরি সোনার গয়নাসহ ২ লাখ টাকা লুট

 

জীবননগর শহরের শাপলাকলিপাড়ায় সন্ধ্যারাতে ডাকাতদলের হানা

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর শাপলাকলিপাড়ায় প্রবাসী নারীর বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাকাতদল বাড়িতে ঢুকে অস্ত্ররে মুখে জিম্মি করে নগত টাকা ও সোনার গয়নাগাটি লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রবাসী নারী বাধা দিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে গুরত্বর আহত অবস্থায় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, জীবননগর শহরের শাপলাকলিপাড়ার রেজাউল ইসলামের স্ত্রী বোম্বে প্রবাসী চাঁনবানু (৪০)। গতকাল রাত সাড়ের ৮টার দিকে ৬-৭ জনের ডাকাতদল তার বাড়িতে প্রবেশ করে জিম্মি করে ২ লাখ টাকা ও ৮ ভরি সোনার গয়না লুট করে। ডাকাতির সময় চিৎকার করলে ডাকাতদল চাঁনবানুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারের প্রতিবেশীরা ছুটে আসার আগেই ডাকাতদল সটকে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নেয়া জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে।

হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাপলাকলিপাড়ায় রেজাউল ইসলামের স্ত্রী চাঁনবানুর (৪০) বাড়িতে রাতের আঁধারে ৬-৭ জন অল্প বয়সের ছেলে মুখ বাঁধা অবস্থায় ঢুকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ৮ ভরি সোনার গয়নাসহ ২ লাখ টাকা নিয়ে অজ্ঞাত দৃবৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আহত চাঁনবানু বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে ছিলাম এমন সময় একজন লোক এসে আমাকে বলে তোর বাড়িতে একটা হেঁসো আছে দে আমি তাকে বলি আমার বাড়ি কোনো হেঁসো নেই তখন তার পেছনে থাকা মুখ বাঁধা আরও ৫-৬ জন আসে। তারা বলে ওই ঘরের আলমারির ভেতরে গয়না ও টাকা আছে। আমাকে তারা আলমারি খুলতে বলে। আমি আলমারি খুলতে অপরাগতা জানালে তারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায় আমি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তারা আমাকে হেঁসো দিয়ে কুপাতে থাকে এবং আমার ঘরে থাকা ৮ ভরি গয়নাসহ ২ লাখ টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এসময় আমি চিৎকার করলে স্থানীয় এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহাত ইমাম বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁনবানু নামের এক নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো হেঁসো দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার অবস্থা অশস্কামুক্ত বলে জানান তিনি।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, সেখানে তদন্তের জন্য আমাদের কর্মকর্তারা গিয়েছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারাণা করা হচ্ছে এটি ডাকাতির ঘটনা নয়, অন্য কোনো বিষয় নিয়ে হয়তো কোনো চক্র এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।