প্রধান প্রধান সড়ক থেকে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করা না হলে চুয়াডাঙ্গায় আসছে পরিবহন ধর্মঘট

স্টাফ রিপোর্টার: রেজিস্ট্রেশনবিহীন থ্রিহুইলার আর শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান প্রধান প্রধান সড়ক থেকে উচ্ছেদের দাবি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসমালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আবারো জোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দাবি দাওয়া নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর সড়কে সরাসরি বাস চলাচল আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ছোট বড় প্রায় সকল সড়কই শ্যালোইঞ্জিনচালিত নানা নামের অবৈধযানে ভরে গেছে। এতে যেমন দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই বাস মালিকদের ব্যবসায় পড়েছে আঘাত। বিশেষ করে মাহেন্দ্র থ্রিহুইলার নিয়ে বাসমালিকদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এসব যান প্রধান প্রধান সড়ক থেকে উচ্ছেদে মাঝে মাঝেই বাসমালিক শ্রমিকদের আন্দোলন করতে দেখা যায়। বাসমালিক শ্রমিক ধর্মঘটে যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগের শিকারও হতে হয়। প্রশাসন-পুলিশ নড়ে চড়ে বসে। কিছু আটক হয়। ছাড়া হয়। আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়ে। কিছুদিন পর আবারও অভিন্ন ইসুতে আন্দোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এবারও সেই অভিন্ন আন্দোলন হতে যাচ্ছে। তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বাস ধর্মঘটের আগে পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে দাবি আদায়ের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি আলমডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গামুখি একটি বাস কানাপুকুরের নিকট পৌছুলে ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে বাসচালককে মারপিট করে ট্রাক্টর মালিকপক্ষ। তাৎক্ষণিক শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। অবরোধ গড়ে তোলে। পুলিশ লাইনের সামনে কয়েকটি বাস ভাঙচুর হয়। কালীগঞ্জ মোটরমালিক সমিতির ক্ষতিগ্রস্ত বাসগুলোর ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নিলেও সরাসরি চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর সড়কে বাস চালাচল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। অবৈধযান প্রধান প্রধান সড়ক থেকে বন্ধ করার আন্দোলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জোরদার পদক্ষেপ নিলে ওই অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। সূত্র এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, অবৈধ যান প্রধান প্রধান সড়ক থেকে উচ্ছেদের দাবি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করা হবে। তাতে সাড়া না পাওয়া গেলে সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক চুয়াডাঙ্গার সকল রুটে বাস চালাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।