প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চুয়াডাঙ্গা আন্দুলবাড়িয়ার বাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তা

 

নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশি প্রহরা জোরদার

নারায় ভৌমিক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী রকিব উদ্দীনের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১০ম জাতীয় সংসদ র্নিবাচনের তফশিল ঘোষণার পর পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বাড়িটির নজরদারি করছে। নাশকতার আশঙ্কায় জীবননগর থানার ওসি আব্দুর রকিব খানের নির্দেশে শাহাপুর ক্যাম্প ইনর্চাজ এসআই শহিদুল ইসলাম শহীদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

আন্দুলবাড়িয়া-অনন্তপুর সড়কে অবস্থিত পুরোনো বাড়িটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের কোনো সদস্য এখানে বসবাস করেন না। বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত হলেও পুলিশি প্রহরার কমতি নেই। প্রতিবেশী মোল্লা আলতাব হোসেন ফেলা জানান, এক সময় সিইসি সাহেবের বড় ভাই মরহুম কাজী রফি উদ্দীনের ছোট ছেলে কাজী রেফাত আহম্মদ রঞ্জু সপরিবারে বসবাস করতেন। তিনি বছর তিনেক আগে বাড়িটি ছেড়ে সপরিবারে চট্টগ্রামের বাড়িতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই থেকেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মহল্লার ইসমাইল হোসেনের চায়ের দোকানে চা পানরত কৃষক রফিক শেখ ও হারেজ আলী শেখ অভিন্ন ভাষায় বলেন, কাজী রকিব আমাদের গর্ব। তার বাড়িটি নাশকতার হাত থেকে রক্ষার দায়-দায়িত্ব এ মহল্লাবাসীর। পুলিশের পাশাপাশি মহল্লাবাসী কড়া নজর রাখছেন।

এদিকে সিইসি কাজী রকিব উদ্দীনের বড় ভাইয়ের ছেলে কাজী রেফাত আহম্মদ রঞ্জু গতকাল সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গাকে জানান, বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় বাড়িটি এখন বড় বড় সাপের অভয়ারণ্য। একজন কেয়ারটেকার বর্তমানে বাড়িটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহম্মদ ও তার ভাই এইচআরসি গ্রুপের ডাইরেক্টর কাজী রোকন উদ্দীন আহম্মদ সপরিবারে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ওই দিন ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজের পারিবারিক উদ্যোগে নির্মিত অনন্তপুর আর রহমান মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটিতে ৬ ঘণ্টা ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ও সকলের খোঁজখবর নিয়ে ফিরে যান।