প্রধান অসামি ইকরাসহ দুই জনের আত্মসমর্পণ : জেলহাজতে প্রেরণ

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ কর্মী কৃষক আশরাফ উদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার কৃষক আওয়ামী লীগ কর্মী আশরাফ উদ্দীনকে নৃশংসভাবে হত্যা মামলার মূল আসামি যুবদল নেতা ইকরাসহ দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অপরদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এদের রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। যদিও গ্রামে জোর গুঞ্জন রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে ওরা পার পাওয়ার সকল প্রকার প্রস্তুতিই নিয়ে ফেলেছে।
আত্মসমর্পনকৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত মকছেদ আলির ছেলে যুবদল নেতা ইকরামুল হক ওরফে ইকরা ও একই গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রসুল। মামলার এজাহারভুক্ত বাকি ৩৬ আসামি এখনও পর্যন্ত পুলিশের দৃষ্টিতে পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও রয়েছেন।
জানা গেছে, গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার আশারাফ উদ্দীনের সাথে মৃত মকছেদ আলীর ছেলেদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে গত ২৭ জানুয়ারি উত্তেজনা দানা বাঁধে। একপর্যায়ে আশরাফ উদ্দীনকে বেঁধে একটি বাড়িতে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মাথায় শাবল গেঁথে হত্যা করা হয়। এসব বর্ণনা দিয়ে নিহতের বড়ভাই শাহাবুদিন পরদিন ২৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবদল নেতা ইকরামুল ওরফে ইকরা ও রসুল আমলী চুয়াডাঙ্গা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছে, মৃত মকছেদ ম-লের ৫ ছেলে ইকরামুল হক ইকরা (৩৮), মজিবুল হক (৫৫), রবিউল হক (৫৭), আশাদুল (৪৮) শামসুল ওরফে ঝন্টু (৪৬), ইকরামুল হক ইকরার ছেলে স্বপ্নিল, মৃত নরুল ইসলামের দু’ছেলে শাহীন আলম ও এনামুল হক, মৃত সদর আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান (৩৫), মৃত খোকাইর ছেলে হারেজ, শাহাজুলের ছেলে ছেলু, আকমান ম-লের ছেলে আব্দুল বারী, দিলছাদ ম-লের ছেলে মোজাম, রহমান ম-লের ছেলে আজিজুল, মৃত দুখি ম-লের ছেলে জালাল উদ্দীন, আবুল হাসেম, আবুল কাশেম, মৃত বাবর আলীর ছেলে খলিল, নূর ইসলামের ছেলে মিলন, মৃত ইছাহক ম-লের ছেলে ঝন্টু, ইসলাম ম-লের ছেলে ফারুক, মহিতের ছেলে জুয়েল মৃত খোকাই ম-লের ছেলে আব্দুস সালাম ও আব্দুস সাত্তার, আবুল বাশারের স্ত্রী জামেলা খাতুন, ইকরামুল হকের স্ত্রী ইতি খাতুন, মৃত আলীহিম ম-লের ছেলে কালু, মুলুক চাঁদের ছেলে শরিফ উদ্দীন, মৃত মুলুক চাঁদের ছেলে আজিমুদ্দিন, মৃত তাহার মালের ছেলে জিয়া, কাশেম আলীর ছেলে রফিক, মৃত খোকাইয়ের ছেলে কালাম, নজরুল ইসলামের ছেলে তোতা, মাখালডাঙ্গার মৃত মোবারকের ছেলে রাজ্জাক, দীননাথপুরের মৃত দেলু মিয়ার ছেলে নূরনবী ছামদানী, আলতু মিয়ার ছেলে আরশাদ, নূরনগরের আলাউদ্দীনের ছেলে রসুল ও গাড়াবাড়িয়ার কাশেমের ছেলে আছাদসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০জন। আসামিদের প্রায় সকলেই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছে বলে পুলিশসূত্র জানিয়েছে।