প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সঙ্কটকে আরও গভীর করবে

স্টাফ রিপোর্টার: যে কোনো উপায়ে দমন করুন দায়িত্ব আমার- পুলিশের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এ বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এ বক্তব্য বর্তমান সংকটকে আরও গভীর ও উপসংহারহীন করে তুলবে। বৃহস্পতিবার দলের সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে কোনো উপায়ের পরিণতি কি অনেক লাশ খালে-বিলে-নদীতে ভেসে ওঠা? যৌথবাহিনী কর্তৃক গ্রামের পর গ্রামে তাণ্ডব-দাহন? বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী বলে চালানো? রিজভী আহমেদ বলেন, পেট্রলবোমা ছুড়ে নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা শুধু অমানবিকই নয়, যারা এগুলোর সঙ্গে যুক্ত তারা পাশবিক বিবেকের অমানুষ। কিন্তু এই জঘন্য অপকর্মের দায় চাপানো হচ্ছে বিরোধী দলের ওপর। কারণ সরকারি শক্তির নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম। তাদের হুকুমেই গণমাধ্যমে ঢালাও প্রচার চালানো হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, উৎপীড়নের নানা পন্থা অবলম্বন করে চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করে সফল হতে না পেরে এখন সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে। সরকারি প্রচণ্ড আক্রমণ সত্ত্বেও নেতাকর্মীরা জোরালো কণ্ঠের আওয়াজে মিছিল করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে যাবে।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের অস্তিত্ব রেখে কখনোই নাৎসি শাসন বজায় রাখা যায় না। তাই বাংলাদেশী নাজিরা বিরোধী দল, বিরোধী মত, সরকারকে সমালোচনা করার অধিকার যা সংবিধান ও বহুদলীয় গণতন্ত্রে স্বীকৃত সেটিকে উচ্ছেদ করার চূড়ান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে। আর এজন্য জনমনকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাদের হাইপার প্রপাগান্ডার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার জনআতংকে ভুগছে। জনগণের ভিড় দেখলেই তারা প্রমাদ গুনছে। এজন্য বিএনপি ও তাদের জোট কোনো সমাবেশের ডাক দিলেই তারা যেন বিপদের আওয়াজ শুনতে পায়।

ছাত্রলীগকে নাশকতা বন্ধ করার আহ্বান ছাত্রদলের: ২০ দলীয় জোট আন্দোলনে ছাত্রলীগের কিছু দুষ্কৃতকারী যানবাহনে পেট্রলবোমা, ককটেল নিক্ষেপসহ নানা নাশকতা করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগ একদিকে চলমান আন্দোলনে নাশকতা করছে অন্যদিকে সরকার আজ্ঞাবহ কিছু গণমাধ্যম এবং পোষা বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে সেই নাশকতার দায়ভার ২০ দলীয় জোটসহ ছাত্রদলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।