প্রথম পুরস্কার পেলো সরকারি কলেজ ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার শেষ দিনে দর্শনার্থীদের উপস্থিত ছিলো চোখে পড়ার মতো। স্টলে স্টলে ছিলো সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জাতীয় জাদুঘর ৩৭তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে। গতকাল সোমবার বিকেলে পুরস্কার বিতরণীর মধ্যদিয়ে এ মেলা সম্পন্ন হয়েছে। মেলায় সিনিয়র গ্রুপের প্রথম পুরস্কার জিতেছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ। তাদের প্রজেক্ট ছিলো ভোল্টার সিকিউরিটি। আর জুনিয়র গ্রুপের প্রথম পুরস্কার পেয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তাদের প্রজেক্ট ছিলো আধুনিক নগরায়ন প্রকল্প ২০২১। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত প্রমুখ। আরও যেসব প্রতিষ্ঠান পুরস্কার পেয়েছে সিনিয়র গ্রুপে চুয়াডাঙ্গা পলিটেকটেকনিক ইনিস্টিটিউট স্বল্পমূল্যে বহুমুখি ওভেন প্রকল্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে, চুয়াডাঙ্গা ফাজিল আলিয়া মাদরাসা ওয়াটার টাচ অ্যালার্ম প্রকল্প নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়  জিডিএস গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ও নেটওয়ার্কিং ডিভাইস মোডিফায়ার প্রকল্পে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলপর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রানারআপ হয়েছে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছে আসিফ আরাফাত। কলেজ পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, রানারআপ হয়েছে চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছে অহনা ইসলাম। বিশেষ গ্রুপে ডুবন্ত নৌযান প্রকল্পে ১ম স্থান অধিকার করেছে ফেমাস সার্ভিসিং সেন্টার, সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পানি গরম পদ্ধতি প্রকল্পে ২য় স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞান ক্লাব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিস সুলতানা। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।