প্রথমবারে মতো সকল কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসছে

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলকসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন ‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২০ শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো সকল কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) মাধ্যমে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পাবলিক পরীক্ষা গুরুত্বের সাথে সকলকে নিতে হবে। কোমলমতি ছেলেমেয়েরা আমাদের ভবিষ্যত। প্রস্তুতিতে আমাদের যেন কোনো ঘাটতি না থাকে। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ করতে পারি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলকসভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ হাজার ৫১০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এরমধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৬টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪৭০ জন, এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৮৯ জন এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করবে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন মুনিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন, জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীনেশ কুমার পাল, ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্মৃতিকণা বিশ্বাস, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাসরেকুল ইসলাম, ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মীর জান্নাত আলী, আলমডাঙ্গা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, দামুড়হুদা দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, জীবননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ কুমার ও মুন্সিগঞ্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী কারোর দ্বারা কোনো ক্ষতির সম্মুখিন না হয়। এটা মোটেও উচিত নয়। এ অবস্থা থেকে সরে আসতে হবে। তবেই ছাত্র-ছাত্রীরা সম্মান করবে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে অভিভাবকদের বেরিয়ে আসতে হবে। বছরে ২বার স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ করতে হবে। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার সময় ২০ মিনিট সময় বেশি পাবে। এ বিষয়টা আগেই কেন্দ্র সচিবকে জানিয়ে রাখতে হবে। পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে।