প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার উজ্জ্বলতা

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বলতা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেডিকেলে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা এবার কিছুটা হতাশ করলেও দেশের সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে আশা জাগানোর মতোই যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে তারা। সর্বকালের রেকর্ড ডিঙিয়ে এবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা কুয়েটে মেধা তালিকায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে একযোগে ১০ জন। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে আরো ৫ জন।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় দিন দিন শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে নাকি হ্রাস পাচ্ছে? এ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। নানাভাবেই চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে ওঠার কারণে শিক্ষার মান যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বিতর্কের খাতিরে হলেও মানতে হবে বোদ্ধাদের। গতকাল সোমবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর চুয়াডাঙ্গার শিক্ষানুরাগীদের অনেকেই এরকম মন্তব্য করেছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে না হয় ভালো হলো, অন্যগুলোতে কতোজন ভর্তির যোগ্যতা দেখালো? সেক্ষেত্রেও মিলেছে ইতিবাচক সংবাদ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েটের ফল প্রকাশিত হয় গত ১৩ নভেম্বর। সেখানে মেধা তালিকায় চুয়াডাঙ্গার দুজন ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে আরো দুজন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা চুয়েটে মেধাতালিকায় চুয়াডাঙ্গার ৪ জন, সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় আরো ৫ জন। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা রুয়েটের ফল প্রকাশিত হয় গত ২১ নভেম্বর। সেখানেও চুয়াডাঙ্গার ৬ জন মেধাতালিকায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে আরো ১০ জন।

‌                প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বুয়েটে যারা সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে এরা হলো- চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার তালুককররার ইখলাছ মালিতা ও সলোকা নেছার ছেলে রকিবুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ মালোপাড়ার আব্দুস সালাম ও মমতাজ আরার মেয়ে নিশি সাইমুন। চুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে আলমডাঙ্গা কেদারনগরের আলা উদ্দীন ও সুফিয়া খাতুনের ছেলে আলী হোসেন, চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার আব্দুল মজিদ জিললু ও সৈয়দা শাহেদ আরার মেয়ে নুঝাত তাবাm&সুম প্রমি এবং আলমডাঙ্গা বড়পুটিমারীর খলিল আলী ও অমরি খাতুনের ছেলে ইখলাস হোসেন। এছাড়া বুয়েটে যোগ্যতা অর্জনকারী রকিবুলও চুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে। রুয়েটে চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার আব্দুল হক মালিক ও শিউলী খাতুনের ছেলে ফাহিম আল- জুবায়ের মেনন, মাঝেরপাড়ার আবুল বাশার ও সাবিয়া খাতুনের ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ প্রিজন, চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহ হানুরবাড়াদীর মিজানুর রহমান ও কাজল রেখার মেয়ে সাফিয়া আক্তার দিপা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র মেহেরপুর মুজিবনগর মহাজনপুরের আজিবর রহমান ও শামসুন্নাহারের ছেলে মেহেদী হাসান, চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের ইমদাদুল হক ও সাহানারা হকের ছেলে তাজুল ইসলাম মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া আলী হোসেন রুয়েটেও ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। কুয়েটে মেধা তালিকায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা থানা কাউন্সিলপাড়ার বদরুল আলম ও ফেরদৌসী বেগমের ছেলে সাদমান নাহিয়ান সেজান, আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারীর খন্দকার শাহাবুদ্দিন ও সেলিনা খাতুনের ছেলে জাহিদ হাসান, দামুড়হুদা দলিয়ারপুরের রফিকুল ইসলাম ও আয়না মতি খাতুনের মেয়ে শিরিনা আক্তার রিপা, চুয়াডাঙ্গা পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মিজানুর রহমান ও রাজিয়া সুলতানার ছেলে শেখ শাহবাজ। এ ছাড়া প্রমি, প্রিজন, মেহেদী হাসান, জাহিদ,  মেনন ও আলী হোসেন রুয়েটেও ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে।

রকিবুল বুয়েটে ৭৮২তম, মেনন রুয়েটে ৩৫তম এবং প্রমি কুয়েটে ৫৮তম স্থান অধিকার করে নিজেদের ঔজ্জ্বল্য ফুটিয়ে তুলেছে। অপেক্ষমাণ তালিকায় যারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে তাদের মধ্যে কুয়েটে দামুড়হুদা বড়বলদিয়ার বখতিয়ার রহমান, রুয়েটে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি তেঁতুলতলার শামসুন নাহার লিমু ও পোস্ট অফিসপাড়ার মৌলুদা মান্নান রিমি। চুয়েটে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা সবুজপাড়ার নূর ইয়াসরিব তিবা। আলী হোসেন ছাড়া বাকি সকলেই চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। দেশের সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় এবার চুয়াডাঙ্গার ছেলেদের সাথে মেয়েরাও এগিয়েছে প্রায় সমান তালে।