পৃথিবীর জন্য হুমকি হাজার ফুটের গ্রহাণু

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিজ্ঞানীরা নতুন এক ঝাঁক গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন। এগুলোর কোনো কোনোটি ১ হাজার ফুট পর্যন্ত চওড়া (প্রায় ৩শ মিটার)। কয়েক বছর পর পর এগুলো পৃথিবীর কাছ দিয়ে ধেয়ে যায়, যা আমরা টের পাই না। প্রতি অক্টোবর এবং নভেম্বরে পৃথিবীর কাছ দিয়ে গ্রহাণুপুঞ্জের প্রবাহ বেড়ে যায় বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এই সময়টাতে তারা খসার ঘটনা বেশি ঘটে, যেগুলো আসলে এসব গ্রহাণু কিংবা উল্কা। গ্রহাণু গুলো যখন মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়ে তখন আগুন জ্বলে ওঠে।

বেশিরভাগ উল্কা আমাদের এই পৃথিবীর জন্য কোনো ঝুঁকি বয়ে আনে না। তবে যদি এগুলো আকারে অস্বাভাবিক বড় হয় এবং পৃথিবীতে আঘাত করে বসে তবে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এ প্রসঙ্গে ২০১৩ সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। রাশিয়ার দক্ষিণ উরাল অঞ্চলে চেলিয়াবিনস্ক নামের ৬৬ ফুট চওড়া একটি উল্কার পতন ঘটেছিল। বিশাল গর্ত হয়ে ভূমিতে আছড়ে পড়া ওই গ্রহাণু বিশাল এক গর্ত তৈরি করেছিলো। সম্প্রতি চেক একাডেমি অব সায়েন্স এর গবেষকরা বলেছেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গ্রহাণু পতনের সম্ভাবনা এখন বেশি। তবে তারা এর বিস্তারিত কারণ বলেননি। বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত ক্যামেরায় সম্প্রতি একাধিক ঝাঁক গ্রহাণুর দেখা পেয়েছেন। এগুলোর ব্যাস সাড়ে ৬শ থেকে শুরু করে ৯৮০ ফুট পর্যন্ত। তাদের মন্তব্য, এই আকারের কোনো গ্রহাণু যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তবে বড় মাপের ক্ষতি হতে পারে।

গবেষকরা বলেছেন, তারা ২০১৫ সাল থেকে ৩০ জুন গ্রহাণু দিবস পালন শুরু করেছেন। গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর জন্য কতোটা ঝুকিপূর্ণ হতে পারে সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করেন তারা। বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন, লাখ লাখ গ্রহাণু থেকে তারা খুব বেশি হলে এক শতাংশ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এদের ব্যাপারে পূর্ণ তথ্য পেতে আরো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।