পুলিশ কনস্টেবলের ক্ষতবিক্ষত ঝলসানো লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরে এক পুলিশ কনস্টেবলের ক্ষতবিক্ষত ও ঝলসানো লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকালে শেরপুর জেলা পুলিশ লাইনসের কাছে পৌর শহরের বাটারা এলাকায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত রাকিবুল হাসান (২০) টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার শৈলকুড়িয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি শেরপুর জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। গতকাল বিকেলে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালেরমর্গে রাকিবুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, রাকিবুলের মাথা ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার বুকের ওপর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত অ্যাসিডে ঝলসানো। কে বা কারা কী কারণে রাকিবুলকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাকিবুল পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে থাকতেন। তার সহকর্মীরা বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত দুইটা থেকে পুলিশ লাইনসে রাকিবুল হাসানের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিলো। কিন্তু এর আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১২টা থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গতকাল সকাল নয়টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাটারা এলাকার একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে সংবাদ পেয়ে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তিনি পুলিশের পোশাকে ছিলেন না। পরনে ছিলো লুঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রাকিবুলের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। তারা আসার পর মামলা করা হবে।
এদিকে পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) আক্কাস উদ্দিন ভূইয়া, শেরপুর পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন সিকদার জানান, রাকিবুল ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। শেরপুর জেলা পুলিশ লাইনস ছিলো তার প্রথম কর্মস্থল।