পুলিশে বন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ঢাকাসহ সারাদেশে অহিংস নিরুত্তাপ আন্দোলনে নামলেও তা পুলিশি গণ্ডিতেই বন্দি হয়ে পড়েছে। সে বেষ্টনী পেরিয়ে আন্দোলনকারীরা বের হওয়ার চেষ্টা চালালেই পুলিশ লাঠিচার্জ ও গণহারে ধরপাকড় করছে। এমনকি আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ারও নজির রয়েছে।

তবে পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীরা শুধু নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালালেই পুলিশ তাতে বাধা দিচ্ছে। জন নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের আন্দোলন কর্মসূচির স্পটগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। সেখান থেকে পুলিশ যাদের গ্রেফতার করছে তাদের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের অনেকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। হুড়োহুড়ির মধ্যে নিরপরাধ কোনো কর্মীকে ধরা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের। এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি যদি জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি পরিহার করে তাহলে তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেয়া হবে না। তবে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। সরকার কারও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে চায় না।

মন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা এবং জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় বিএনপির প্রথম সারির দুই নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।

যদিও এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‌কেউ যদি জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় তখনই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কাজটি করার দরকার সে কাজটি করে থাকে। জনগণের দুর্ভোগ থেকে ঢাকার ওই এলাকাটি রক্ষা করার দরকার ছিলো। তাই পুলিশ সেই কাজটিই করেছে।