পুলিশের সাথে গুলির লড়াই : চুয়াডাঙ্গা চানপুরের ইমান আলীর পতন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা চানপুরের ইমান আলী পুলিশের সাথে গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গতরাত পৌনে ১টার দিকে জীবনগরের সন্তোষপুর-দেহাটি সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ইমান আলী। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ৪টি বোমা, একটি এলজি শুটারগান, ৫টি চাপাতি, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ইমান আলী চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের চানপুর গ্রামের ফকর উদ্দীন ব্যাপারির ছেলে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিকটনজদের কেউ গ্রহণ করলে তা দেয়া হবে। নিকটজনেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন নিহত ইমান আলীর লাশ কোথায় দাফন করা হবে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের চিহ্নিত কয়েকটি স্থানে মাঝে মাঝেই ডাকাতদল গাছ ফেলে ডাকাতি করে। দীর্ঘদিন ধরে একই সড়কে একের পর এক ডাকাতির কারণে পুলিশি টহলও জোরদার করে। এরপরও সম্প্রতি রাত ৯টার দিকে ডাকাতদল গণহারে ডাকাতি করে। এ ঘটনার সপ্তাহখানেকের মাথায় গতরাতে ঘটলো পুলিশের সাথে ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। পুলিশ বলেছে, রাত আনুমানিক পৌনে ১টার দিকে জীবননগর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আব্দুল আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সন্তোষপুর সড়কে টহলে যান এ সময় ডাকাতদল পুলিশের গাড়ি দেখে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ইমান আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, পথিমধ্যেই সে মারা যায়।
জীবননগর থানার ওসি বলেছেন, ইমান আলী ডাকাতদলের সর্দ্দার। সম্প্রতি এলাকায় যতোগুলো ডাকাতি হয়েছে তার অধিকাংশের সাথেই ইমান আলী জড়িত। এ বিষয়ে থানায় মামলাও রয়েছে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) আহসান হাবীব বলেছেন, আন্ত জেলা ডাকাতদলের সর্দ্দার ইমান আলীর রিুদ্ধে অস্ত্র, বোমা ও ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে। রাতে সড়কের ধারে বসে ইমান আলী তার দলের ১৪/১৫ জনকে নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষন করে।