পুলিশের উপস্থিতিতে একপক্ষের দু রাউন্ড রাইফেলের গুলিবর্ষণ

চুয়াডাঙ্গার বড়লুয়ায় মসজিদের কমিটি গঠ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের বড়সলুয়া গ্রামে মসজিদের কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র আনোয়ার ও ফারুক হোসেন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে ফারুক হোসেন বাড়ি থেকে লাইসেন্স করা রাইফেল এনে দু রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে ভীতি সৃষ্টি করে। গুলির শব্দ শুনে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশও পাল্টা রিভলবার বের করে ফারুককে নিবৃত করে। ঘটনাটি নিয়ে বড়সলুয়া গ্রামে দু পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাইফেলটি সিস করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশও দিয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল দুপুরের দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া গ্রামের বসুতিপাড়া মসজিদের মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে মসজিদের পুরোনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখেন সামসুল ইসলাম ওরফে ফরজন মাস্টারের ছেলে ফারুক হোসেন। এ সময় একই পাড়ার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আনোয়ার হোসেন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। এতে বেকে বসেন ফারুক হোসেন। ফারুক মসজিদের মাইক নিয়ে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে তিরস্কারমূলক কথা বললে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফারুক হোসেন মুসল্লিদের নিকট শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। মসজিদের নিকট বাড়ি হওয়ায় ফারুক হোসেন দ্রুত বাড়ি গিয়ে লাইসেন্স করা রাইফেল নিয়ে মসজিদের দিকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে ছুটে যান। মসজিদের কমিটি গঠন করা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এমন সংবাদে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন মসজিদের নিকটবর্তী দোকানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশও রিভলবার তাক করে ফারুকের দিকে। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে ফারুক পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি আকছেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আত্তাব উদ্দীন ও ক্যাশিয়ার জয়নাল আবেদিন ভালোভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু ফারুক হোসেন গুটিকয়েক লোক নিয়ে কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিলে অধিকাংশ মুসল্লি তাতে কান দেন না। পূর্ব পরিকল্পনা নিয়েই ফারুক মসজিদে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে আনোয়ার হোসেন বলেন, ফারুক আমাকে গুলি করে হত্যা করতে পারে এমন খবর আমার কাছে থাকায় আমি পূর্ব থেকে পুলিশকে বলে রেখেছিলাম। আজ পুলিশ না থাকলে কি যে হতো বলা মুশকিল ছিলো।

এএসআই ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দু রাউন্ড না এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছেন ফারুক। ফারুক যা করেছেন তা বেআইনি। বিষয়টি ওপর মহলে জানানো হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার রাইফেলটি সিস করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় আজ মামলা হতে পারে বলে আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে একাধিকবার ফারুক হোসেনের সাথে মোবাইলেফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।