পিলখানা ট্রাজেডি : আপিলে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্টাফ রিপোর্টার: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে ১৮৫ জনকে। আর ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে এবং খালাস পেয়েছেন ৪৫ জন। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। আদালত এ রায়কে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে রায়ে বিভিন্ন সুপারিশও করা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়ার দুটি ধাপ শেষ হলো।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ঘটেছিলো এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। বিচারের মুখোমুখি করা হয় ৮৪৬ বিডিআর জওয়ানকে। মামলার অন্য চার আসামি বিচার চলাকালে মারা যান। আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলায় ১৫২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন বিচারিক আদালত। এদের একজন ছাড়া সবাই তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৬১ জনকে। সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান আরও ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন আসামি। সাজা হয় মোট ৫৬৮ জনের। হাইকোর্টে কোনো রায় পড়তে দুদিন সময় লাগার বিয়ষটি অনেক আইনজীবীই নজিরবিহীন বলেছেন। এ মামলায় আদালত এক হাজার পৃষ্ঠার বেশি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সম্পূর্ণ রায় প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ষড়যন্ত্র ছিলো। আদালত বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে গণতন্ত্র ধ্বংস করাই ছিলো বিদ্রোহের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আজ রায় পড়তে গিয়ে বিচারপতি নজরুল বলেন, তৎকালীন বিডিআরের নিজস্ব গোয়েন্দারা কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে তা আগে জানতে পারেনি, সেই ব্যর্থতা খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি করা দরকার। তিনি মহাপরিচালকের উদ্দেশে বলেন, কোনো সমস্যা এলে তা তাৎক্ষণিক সমাধান করতে হবে। বিজিবির জওয়ানরা কোনো সমস্যা নিয়ে এলে তা মিমাংসা করতে হবে এবং বিজিবিতে সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানদের মধ্যে পেশাদারি সম্পর্ক থাকতে হবে। নজরুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, কেন সে সময়ের বিডিআর ডাল-ভাত কর্মসূচি নিলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কর্মসূচি যেন না নেয়া হয়, সে ব্যাপারে বিজিবিকে সতর্ক করেন তিনি।
আরেক বিচারপতি মো. শওকত হোসেন বলেন, কোনো সেনা কর্মকর্তা সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে থাকবে না, এটাই ছিলো বিদ্রোহে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মূল মনোভাব। তিনি জওয়ানদের সঙ্গে ঔপনিবেশিক (কলোনিয়াল) আমলের মতো ব্যবহার না করার কথা বলেন। তিনি বলেন, একই দেশ। এখানে সবাই ভাই ভাই। গত রোববার আদালত পর্যবেক্ষণে নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডকে নৃশংস ও বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ইপিআর পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনী দেশে-বিদেশে সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছে। কিন্তু ২০০৯ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের কিছু সদস্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এই কলঙ্কচিহ্ন তাঁদের অনেক দিন বয়ে বেড়াতে হবে। একসঙ্গে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার নজির ইতিহাসে নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় মনোবল নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও জেল আপিল ও আপিল করেন। ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০তম দিনে গত ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর হাইকোর্ট রায়ের জন্য ২৬ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন। নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরাও জেল আপিল ও আপিল করেন। ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০তম দিনে, ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর হাইকোর্ট রায়ের জন্য ২৬ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
নিম্ন আদালতের রায়: বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন বিদ্রোহের অন্যতম পরিকল্পনাকারী উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলম। বিডিআরের বাইরে দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এঁরা হলেন বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলী। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কারাগারে মারা যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু। নিম্ন আদালতের রায়টি ছিলো মোট চার হাজার পৃষ্ঠার।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক তখন বলেছিলেন, এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা। একটি বিদ্রোহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে যে কারণে এ বিদ্রোহ হয়েছে, তা ছিলো অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর মনোবল নষ্ট করা, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়াই ছিলো হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ। আদালত ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়ে বলেন, মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এঁদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সাধারণ নাগরিক হলেন পিলখানার পাশের এলাকার বাসিন্দা নায়েক সুবেদার (অব.) কাঞ্চন আলীর ছেলে জাকির হোসেন। পিন্টু ও তোরাব আলীকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়; অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে অস্ত্র লুণ্ঠনের দায়ে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এতে করে তাঁদের ৪০ বছরের সাজা হয়। ২৫৬ জনের মধ্যে ২০৭ জনকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের আরেকটি অভিযোগে আরও তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ১৩ বছর কারাভোগ করতে হবে তাঁদের।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জন: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ১৫২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। নিচে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের তালিকা দেওয়া হলো।
১. ডিএডি তৌহিদুল আলম, পিতা মৃত সৈয়দ ইয়াকুব আলী ২. ডিএডি মো. নাছির উদ্দিন খান, পিতা মৃত মোহন আলী খান ৩. আরডিও মীর্জা হাবিবুর রহমান, পিতা মৃত মীর্জা শহিদুল্লাহ ৪. আরডিও আ. জলিল, পিতা মৃত কিনু শেখ ৫. সিপাহি মো. সেলিম রেজা, পিতা মৃত সদর উদ্দিন ৬. সিপাহি মো. শাহ আলম, পিতা মো. লুত্ফর রহমান ৭. সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিক, পিতা মৃত আবদুল লতিফ মল্লিক ৮. সিপাহি এস এম আলতাফ হোসেন, পিতা মৃত আমিন উদ্দিন সরকার, ৯. সিপাহি মো. সাজ্জাদ হোসেন, পিতা মৃত তোজাম্মেল হক ১০. সিপাহি মো. কাজল আলী, পিতা মাওলা বক্স, ১১. সিপাহি মো. আবদুল মতিন, পিতা মুনসুর আলী ১২. পাবলিক জাকির হোসেন, পিতা নায়েব সুবেদার (অব.) কাঞ্চন আলী ১৩. ইউপি ল্যা. না. মো. শাহ আলম, পিতা মৃত আলহাজ অজিউল্লাহ ১৪. হাবিলদার মো. আবু তাহের, পিতা মৃত মো. আমির উদ্দিন ১৫. সিপাহি মো. আজিম পাটোয়ারী, পিতা মৃত আবদুর রব পাটোয়ারী ১৬. সিপাহি মো. রেজাউল করিম, পিতা গোলাম মোস্তফা ১৭. সিপাহি রফিকুল ইসলাম, পিতা মাহতাব মোড়ল ১৮. সিপাহি মো. মিজানুর রহমান ওরফে রোস্তম, পিতা মোজ্জাফর হোসেন ১৯. হাবিলদার মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা মোকাদ্দেছ আলী ২০. ল্যা. না. সিগন্যাল মো. জাকারিয়া মোল্লা, পিতা মৃত হারুন অর রশীদ মোল্লা ২১. ল্যা. না. মো. আ. করিম, পিতা মৃত মানিক মিয়া ২২. ল্যা. না. মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, পিতা মো. হারুন তালুকদার ২৩. সিপাহি মো. হাবিবুর রহমান, পিতা মো. চান মিয়া মুন্সি ২৪. সিপাহি মো. জিয়াউল হক, পিতা মো. সাজ্জাত আলী ২৫. সিপাহি রুবেল মিয়া, পিতা মো. আ. বাতেন ২৬. হাবিলদার সহকারী খন্দকার মনিরুজ্জামান, পিতা মৃত তহম আলী সরকার ২৭. সিপাহি মো. আজাদ খান, পিতা মো. দেলোয়ার হোসেন খান ২৮. সিপাহি খন্দকার শাহাদত, পিতা মৃত মতিয়ার রহমান, ২৯. সিপাহি মো. এমরান চৌধুরী, পিতা মৃত আবদুর রাজ্জাক ৩০. ল্যান্স নায়েক মো. ইকরামুল ইসলাম, পিতা মৃত মো. আমিনুল ইসলাম ৩১. সিগন্যাল ম্যান মো. আবুল বাশার, পিতা মো. নুরুল ইসলাম ৩২. সিপাহি মো. শেখ আইয়ুব আলী, পিতা শেখ আ. রশিদ ৩৩. হাবি. মো. খায়রুল আলম, পিতা মো. আবদুল আউয়াল শেখ ৩৪. নায়েব সুবেদার শাহজাহান আলী, পিতা খয়বর আলী ৩৫. সিপাহি মো. ওবায়দুল ইসলাম, পিতা মো. আলী হোসেন ৩৬. সিপাহি মো. শামীম আল মামুন, পিতা মো. নুরুজ্জামান ৩৭. সিপাহি মো. সিদ্দিক আলম, পিতা মো. ফজলুল হক ৩৮. সিপাহি মো. আমিনুল, পিতা মো. আবুল বাসার ৩৯. সিপাহি মো. সাইফুল ইসলাম, পিতা মো. আবদুল ওয়াহাব দর্জি ৪০. সিপাহি মো. রিয়ান আহাম্মেদ, পিতা মো. শামসুদ্দিন ৪১. সিপাহি মো. রাজিবুল হাসান, পিতা মো. আলতাব হোসেন ৪২. সিপাহি মো. সুমন মিয়া, পিতা মো. আবদুর রশিদ ৪৩. সিপাহি মো. হারুনর রশিদ মিয়া, পিতা মো. আবদুল মান্নান মিয়া ৪৪. সিপাহি মো. আতোয়ার রহমান, পিতা মো. আ. মুন্না ফকির ৪৫. সিপাহি মো. ইব্রাহিম, পিতা নূর মোহাম্মদ ৪৬. সিপাহি মো. কামাল মোল্লা, পিতা মৃত গাউস মোল্লা ৪৭. সিপাহি মো. আবদুল মুহিত, পিতা মৃত আ. সাত্তার ৪৮. সিপাহি মো. রমজান আলী, পিতা মো. বাদশা মিয়া ৪৯. সিপাহি মো. শাহীন শিকদার, পিতা মো. হারুন অর রশিদ ৫০. হাবিলদার মো. ইউসুফ আলী ওরফে পিছলা ইউসুফ, পিতা মৃত হাসেম আলী ব্যাপারী ৫১. সিপাহি মো. বজলুর রশিদ, পিতা মো. আ. বারী প্রধান ৫২. ল্যা. না. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পিতা মো. আবদুল জব্বার ৫৩. হাবিলদার জালাল উদ্দিন আহমেদ, পিতা মৃত ইসমাইল ৫৪. সিপাহি মো. আলিম রেজা খান, পিতা হাজি আ. করিম খান ৫৫. হাবিলদার শাহজালাল, পিতা মৃত শের আলী মণ্ডল, ৫৬. সুবেদার মো. খন্দকার একরামুল হক, পিতা মৃত খন্দকার তোজাম্মেল হক ৫৭. নায়েব সুবেদার মো. সাইদুর রহমান, পিতা মৃত শমসের আলী ৫৮. সুবেদার মেজর মো. শহিদুর রহমান, পিতা মৃত নাজিম উদ্দিন ৫৯. নায়েব সুবেদার মো. আজিজ মিয়া, পিতা মৃত বাহাজ উদ্দিন মিয়া ৬০. পিয়ন এমএলএসএস মো. সাইফুদ্দিন মিয়া, পিতা মৃত ডা. সবুর উদ্দিন ৬১. নায়েব সুবেদার মো. আলী আকবর, পিতা মোহাম্মদ আলী ৬২. সিপাহি মো. কাজী আরাফাত হোসেন, পিতা মো. কাজী আকবর হোসেন ৬৩. সিপাহি মো. হায়দার আলী শেখ, পিতা মো. আবদুস সালাম মুন্সী ৬৪. সিপাহি মো. আবুল বাশার, পিতা মৃত আবুল কালাম ৬৫. নায়েব সুবেদার মো. ফজলুল করিম, পিতা মৃত আবেদ আলী ৬৬. হাবিলদার এ বি এম আনিসুজ্জামান, পিতা মৃত ইসার আলী মুন্সি, ৬৭. সিপাহি মো. মতিউর রহমান, পিতা মো. লইম উদ্দিন ৬৮. নায়েক সিগ. মো. ওয়াজেদুল ইসলাম, পিতা মো. কিতাব আলী ৬৯. সিগন্যাল ম্যান মো. মনির হোসেন, পিতা মো. আবুল কালাম ৭০. সিপাহি মো. মনিরুজ্জামান, পিতা মো. মোতাহার আলী ৭১. নায়েক মো. আবু সাঈদ আলম, পিতা মৃত ড্রাইভার সেতাব উদ্দিন ৭২. সিপাহি মো. তারিকুল ইসলাম, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম ৭৩. নায়েব সুবেদার ওয়ালি উল্লাহ, পিতা আলী আহম্মেদ ৭৪. সিপাহি মো. হারুন অর রশিদ, পিতা মো. আ. মজিদ সরকার ৭৫. সিপাহি মো. আতিকুর রহমান, পিতা মো. আজিজুর রহমান ৭৬. সিপাহি ড্রাইভার মো. হাবিবুর রহমান, পিতা মৃত আবুল বাশার সর্দার, (মিনি) ৭৭. সিপাহি মো. রমজান আলী, পিতা মো. মকবুল হোসেন ৭৮. হাবি. (চালক) মো. আ. সালাম খান, পিতা মৃত মহন খান, ৭৯. সিপাহি মো. তারিকুল, পিতা মো. মেসের আলী ৮০. হাবিলদার মো. বিল্লাল হোসেন খান, পিতা মৃত হাশেম খান ৮১. হাবিলদার মাসুদ ইকবাল, পিতা মৃত আ. করিম ৮২. নায়েক মো. আবদুল কাইয়ুম, পিতা মৃত মেহের মণ্ডল ৮৩. হাবিলদার মো. আক্তার আলী, পিতা মো. আফসার আলী ৮৪. হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলাম, পিতা আবদুল ওয়াদুদ বিশ্বাস ৮৫. ল্যা. নায়েক মোজাম্মেল হক, পিতা মো. শফিক উদ্দিন ৮৬. নায়েক সুবেদার মনোরঞ্জন সরকার, পিতা মৃত কান্দন সরকার ৮৭. নায়েব সুবেদার আবুল খায়ের, পিতা মৃত আলী আহমেদ ৮৮. হাবিলদার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, পিতা মৃত আকবর তালুকদার ৮৯. সিপাহি মো. সাইফুল ইসলাম, পিতা আবদুল হাকিম মণ্ডল ৯০. হাবিলদার মেডি. সহ. মো. আবুল বাশার, পিতা মৃত অলিউল্লাহ মিয়া ৯১. সুবেদার মো. ইউসুফ আলী খান, পিতা মৃত এলাহী বক্স খান ৯২. মেডি. অ্যান্সি. নায়েব সুবেদার খান মো. তোরাব হোসেন, পিতা মৃত আলম খান ৯৩. নায়েক মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মৃত বাহার আলী সরদার ৯৪. নায়েক চালক মো. আলী হোসেন, পিতা মৃত আ. বারেক মোল্লা ৯৫. হাবিলদার মো. হুমায়ুন কবির (সুধীর), পিতা মৃত শ্রী যদুমানকি ৯৬. হাবি. মো. ওমর আলী, পিতা মৃত আ. মান্নান মোল্লা ৯৭. সিপাহি রাজু মারমা, পিতা কংসি অং মারমা ৯৮. সিপাহি আল মাসুম, পিতা মোতাহের হোসেন ৯৯. নায়েক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, পিতা মৃত নজির উদ্দিন ১০০. হাবিলদার জসিম উদ্দিন খান ওরফে ছোট ধলা, পিতা মৃত বরকত উল্লাহ ১০১. নায়েব সুবেদার আবদুল বাতেন, পিতা মৃত ইদ্রিস মিয়া ১০২. সিপাহি মো. জিয়াউল হক, পিতা সোহরাব উদ্দিন ১০৩. সিপাহি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পিতা মৃত আতিয়ার রহমান মোল্লা ১০৪. নায়েক ফিরোজ মিয়া, পিতা মৃত আয়নাল হক ১০৫. সিপাহি মো. শাহীনুর আল মামুন, পিতা নুর মোহাম্মদ মিয়া ১০৬. নায়েক মো. নুরুল ইসলাম, পিতা মৃত নুরুজ্জামান ১০৭. নায়েক শেখ মো. শহিদুর রহমান ১০৮. সিপাহি মো. মহসিন আলী, পিতা মো. আ. সামাদ ১০৯. সিপাহি এস এম সাইফুজ্জামান, পিতা এস এম সাইদুজ্জামান ১১০. সিপাহি উত্তম বড়ুয়া, পিতা শৈলেন বড়ুয়া ১১১. জেসিও নায়েব সুবেদার মো. কবির উদ্দিন, পিতা মৃত সৈয়দ সামস উদ্দিন ১১২. সিপাহি এস এম রেজওয়ান আহম্মেদ, পিতা মৃত লুত্ফর রহমান ১১৩. সিপাহি মো. নাজমুল হোসাইন, পিতা মো. সবুর হোসেন ১১৪. সুবেদার মো. আবদুল বারী, পিতা মৃত আবুল কাশেম ১১৫. সিপাহি মো. আমিনার রহমান, পিতা সুজল প্রামাণিক, ১১৬. সিপাহি মো. জাহিদুল ইসলাম, পিতা কাজী আবু জাফর, ১১৭. সিপাহি রাখাল চন্দ্র, পিতা কালী প্রশান্ন কুমার দাস ১১৮. নায়েক মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা মৃত নাজিম উদ্দিন, ১১৯. সিপাহি মো. এরশাদ আলী, পিতা মো. ইন্তাজ আলী ১২০. ল্যা. না. মো. হাবিবুল্লাহ বাহার ১২১. নায়েক (চালক) মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মৃত মানু মিয়া ১২২. নায়েক মো. আসাদুজ্জামান, পিতা আবদুল জলিল মোল্লা ১২৩. সিপাহি মো. মাঈন উদ্দিন, পলাতক, পিতা মো. মোসলেম উদ্দিন ১২৪. সিপাহি হাসিবুল হাসান, পলাতক, পিতা মো. হাবিবুর রহমান ১২৫. সিপাহি পল্টন চাকমা, পলাতক, পিতা মৃত পেদে চাকমা ১২৬. সিপাহি মো. মুকুল আলম, পলাতক, পিতা মো. ওয়াহেদুল ইসলাম ১২৭. সিপাহি মো. মিজানুর রহমান, পলাতক ১২৮. সিপাহি মো. কামরুল হাসান, পলাতক, পিতা মো. সামছুদ্দিন ১২৯. সিপাহি মো. বাকী বিল্লাহ, পলাতক, পিতা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী ১৩০. সিপাহি মো. মেজবাহ উদ্দিন, পলাতক, পিতা এরাদত উল্ল্যাহ ১৩১. সিপাহি মো. রেজাউল করিম, পলাতক ১৩২. সিপাহি মো. সেলিম, পলাতক, পিতা আ. রহমান ১৩৩. সিপাহি মো. নুরুল আলম, পলাতক, পিতা এজাহার মিয়া ১৩৪. ল্যান্স নায়েক মো. হামিদুল ইসলাম, পলাতক, পিতা মৃত মমিন উদ্দিন সরকার ১৩৫. সিপাহি মো. আনিছুর রহমান, পলাতক, পিতা আবদুল করিম ১৩৬. সিপাহি মো. মকবুল হোসেন, পলাতক, পিতা মৃত নবাব খান ১৩৭. সিপাহি মো. সালাউদ্দিন, পিতা আবদুল মজিদ ১৩৮. ল্যান্স. না. মো. রেজাউল করিম, পিতা মো. বকতার আলী ১৩৯. ডিএডি মো. নুরুল হুদা, পিতা মৃত মুন্সী অলিউল্লাহ ১৪০. না. সুবে. মো. ইসলাম উদ্দিন, পিতা মো. আফতাব হোসেন ১৪১. ল্যা. না. মো. মোজাম্মেল, পিতা মৃত তাজেম আলী ১৪২. হাবি. মো. দাউদ আলী বিশ্বাস, পিতা মো. সুলতান আলী বিশ্বাস ১৪৩. সিপাহি মো. জসিম উদ্দিন, পিতা মৃত খবির উদ্দিন ১৪৪. নায়েক শাহী আকতার, পিতা মো. রইচ উদ্দিন ১৪৫. ল্যান্স নায়েক মো. মজিবর রহমান, পিতা মো. মহিউদ্দিন ১৪৬. ল্যান্স নায়েক মো. আনোয়ার হোসেন, পিতা মো. আবদুস সাত্তার ১৪৭. ল্যা. নায়েক মো. হাসনাত কামাল, পিতা মো. আবদুল আজিজ ১৪৮. ল্যা. নায়েক সহকারী মো. ইমদাদুল হক, পিতা মো. মিজানুর রহমান ১৪৯. ল্যান্স নায়েক সহকারী মো. সেলিম মিয়া, পিতা মো. আবদুল জব্বার ১৫০. ল্যা. না. সহ. মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মো. বাবর আলী ১৫১. হাবিলদার মো. বেলায়েত হোসেন, পিতা মো. আবুল বাশার ১৫২. সিপাহি মো. আবুল কালাম আজাদ, পিতা মো. নুরুল বিশ্বাস।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ হলো যাদের: পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। নিচে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের তালিকা দেয়া হলো।
১. ডিএডি মো. আবদুর রহিম, পিতা মৃত আবদুল গফুর ২. সিপাহি শ্রী চন্দ্র নাথ, পিতা চন্দ্র মোহন ৩. সিপাহি মো. আলতাব হোসেন, পিতা মা. জহিরুল হক ৪. নায়েক মো. কামরুজ্জামান, পিতা মো. আবুল কালাম ৫. সিপাহি মো. রায়হান চৌধুরী, পিতা মো. আ. মালেক চৌধুরী ৬. সিপাহি গৌতম দেব, পিতা মৃত বিজয় চন্দু দেব ৭. সিপাহি মো. জসিম মল্লিক, পিতা আবদুস সোবহান মল্লিক ৮. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু (বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ), পিতা নিজাম উদ্দিন ৯. মো. তোরাব আলী (স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা), পিতা মাইন উদ্দিন ১০. সিপাহি মো. শরিফ উদ্দিন, পিতা মো. কবির আহম্মেদ ১১. জেসিও ডিএডি মো. সিরাজুল ইসলাম, পিতা মো. ইসহাক আলী সরদার ১২. ল্যা. না. মো. গাউসুল আজম, পিতা আবু ইউসুফ সরকার ১৩. সিপাহি মো. মঞ্জুর আলম, পিতা আবদুস সাত্তার ১৪. সিপাহি মো. রাসেল সওদাগর, পিতা মো. শহিদুল্লাহ হাওলাদার ১৫. সিপাহি শহিদুল ইসলাম, পিতা মৃত ইমতিয়াজ উদ্দিন ১৬. সিপাহি মো. আবু তাহের, ওরফে সাদা বাউ, পিতা মো. আফিয়ার রহমান ১৭. নায়েব সুবেদার আলাউদ্দিন, পিতা মৃত জবান আলী ১৮. পাচক শহিদুল্লাহ, পিতা আবদুল ওহাব ১৯. পাচক মো. জিকরুল শেখ, পিতা. মৃত আবদুল আজিজ ২০. ঝাড়ুদার মো. আবদুল কাদের, পিতা মৃত ইয়াকুব আলী ২১. ঝাড়ুদার এমদাদুল হক, পিতা মৃত মো. আফাস উদ্দীন ২২. ঝাড়ুদার মো. রাশেদ আলী খোকা, পিতা মৃত আক্কাস আলী ২৩. ঝাড়ুদার মানিক চন্দ্র নাথ, পিতা যগেন্দ্র চন্দ্র নাথ ২৪. ঝাড়ুদার মো. আলমগীর হোসেন, পিতা মো. আজিজুল হক ২৫. সিপাহি মো. শাকিল আহাম্মদ, পিতা মো. শুকুর আলী ২৬, ল্যা. না. মো. মামুদ হোসেন সরদার ওরফে মাসুদ হোসেন সরদার, পিতা মৃত পিরা সরদার ২৭. হাবিলদার মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজুল আলম, পিতা ছায়েদ আলী মোল্লা ২৮. সিপাহি মো. মজিবুর রহমান, পিতা মো. আবদুর রহমান ২৯. সিপাহি মো. মাজহারুল ইসলাম ফরাস, পিতা মৃত হাফিজ উদ্দিন ফরাস ৩০. সিপাহি মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা মো. ইয়াসিন আলী জোয়ার্দার ৩১. সিপাহি আবদুল্লাহ আল মামুন, পিতা মো. নজরুল ইসলাম ৩২. সিপাহি মুকুল হোসেন, পিতা শেখ ফরিদ উদ্দিন ৩৩. সিপাহি মো. জাকির হোসেন, পিতা দেলোয়ার হোসেন ৩৪. সিপাহি মো. আ. রহমান, পিতা আজিজার রহমান ৩৫. সিপাহি মো. আমজাদ হোসেন, পিতা মো. মনছুর আলী ৩৬. ল্যা. না. মো. মনিরুজ্জামান, পিতা মো. আবদুস সাত্তার খান ৩৭. সিপাহি রবিউল ইসলাম, পিতা আবদুল কাদের ৩৮. সিপাহি মো. জিল্লুর রহমান, পিতা মো. আবু বক্কর মোল্লা ৩৯. সিপাহি মো. জামিরুল ইসলাম ওরফে জামরুল ইসলাম, পিতা মৃত চাঁদ আলী মণ্ডল ৪০. সিগনাল ম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, পিতা মো. তয়েজ উদ্দিন সরদার ৪১. সিপাহি মো. আলম আলী, পিতা মৃত কাশেম আলী ৪২. সিপাহি মো. বুলবুল হোসেন, পিতা আবদুল কাদের ৪৩. সিপাহি উক্রুড়চিং মার্মা ওরফে উচিং, পিতা মংক্রু মার্মা ৪৪. সিপাহি জাকিরুল ইসলাম, পিতা আবু সিদ্দিক ৪৫. সিপাহি রিনেল চাকমা, পিতা কামানী রঞ্জন চাকমা ৪৬. সিপাহি মাসুদুর রহমান, পিতা মজিবুর রহমান ৪৭. সিপাহি মো. জিয়াউর রহমান, পিতা চাঁদ আলী শেখ ৪৮. সিপাহি মো. আবদুর রশিদ, পিতা মো. ফরিদ আলী শেখ ৪৯. সিপাহি মো. আবদুল গোফরান, পিতা মো. শামসুল হুদা ৫০. সিপাহি সফিকুল ইসলাম. পিতা মৃত মকবুল হোসেন ৫১. সিপাহি হারুন মিয়া, পিতা সিদ্দিকুর রহমান ৫২. ল্যা. না. মফিজুল হক, পিতা হাজী আ. শুকুর ৫৩. সিগন্যাল মো. মাসুদ রানা, পিতা মো. জয়নাল আবেদীন ৫৪. সিপাহি আশরাফুল ইসলাম, পিতা মো. আ. মান্নান ৫৫. সিপাহি ওয়াসিম আকরাম, পিতা মো. আছাদুল করিম ৫৬. হাবিলদার মো. আবুল কাশেম খান, পিতা মৃত লুৎফর রহমান খান, ৫৭. ল্যা. না. মো. একরামুল ইসলাম, পিতা মৃত গোলাম মোস্তফা ৫৮. সিপাহি অভিজিত রায়, পিতা শিশির রায় ৫৯. সিপাহি মো. মাসুদ আহম্মেদ রানা, পিতা মো. মজিবর রহমান ৬০. সিপাহি মো. কামাল উদ্দিন, পিতা মৃত মো. আলফাজ উদ্দিন ৬১. সিপাহি মো. শাহীন ইমরান, পিতা মো. নুরুজ্জামান ৬২. জেসিও সুবেদার মেজর শেখ জুবায়ের হোসেন, পিতা মৃত মো. শেখ আবদুল গফুর ৬৩. হাবিলদার মো. মোক্তার হোসেন, পিতা মৃত রহিম উদ্দিন সোনার ৬৪. সিপাহি মো. রিয়াদ ওরফে রিয়াদ হোসেন চৌধুরী, পিতা আ. রশিদ চৌধুরী ৬৫. সিপাহি মো. জফুর আলী, পিতা মৃত তালেব আলী ৬৬. সিপাহি মেহেদী হাসান, পিতা মো. হারুন খোরাজী ৬৭. সিপাহি মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা মৃত ইয়াছিন আলী মণ্ডল ৬৮. ল্যা. না. মো. গোলাম সরোয়ার, পিতা মৃত ইয়াকুব হোসেন ৬৯. জেসিও সুবেদার শেখ আশরাফ আলী, পিতা মো. আলা উদ্দিন ৭০. সিপাহি মো. কলিম উল্লাহ, পিতা মো. হামিদুর রহমান ৭১. সিপাহি মো. রিপন পাঠান, পিতা মো. আ. জলিল পাঠান ৭২. জেসিও নায়েব সুবেদার মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মো. আমীর হামজা গাজী ৭৩. সিপাহি নাজির হোসেন, পিতা মো. শেখ শাদ আলী ৭৪. হাবিলদার মো. আ. রহমান, পিতা মৃত মাওলানা আবদুল গণি ৭৫. সিপাহি মো. আ. রহিম, পিতা মো. আবদুল করিম ৭৬. ল্যা. না. মো. জহিরুল আলম, পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান ৭৭. ল্যা. না. মো. হারুন অর রশীদ, পিতা জমির উদ্দিন ৭৮. সিপাহি মো. ফরহাদ খান, পিতা মো. ফিরোজ খান ৭৯. নায়েক মো. সেকেন্দার আলী খান, পিতা মো. মিজান খান ৮০. সিপাহি মো. আলমাস উদ্দিন, পিতা মো. আ. রশিদ ৮১. সিপাহি মো. রাসেল ওরফে রুমেল, পিতা মো. আ. খালেক ৮২. সিপাহি মো. আলম হোসেন, পিতা মো. লোকমান মণ্ডল ৮৩. সিপাহি মো. নজরুল ইসলাম, পিতা মো. জহুর উদ্দিন ৮৪. সিপাহি মো. আ. রশিদ, পিতা মো. জয়নাল আবেদীন ৮৫. সিপাহি গোলাপ মো. শাহিন, পিতা মো. আবদুল কুদ্দুস সরকার ৮৬. নায়েক মো. আবদুল বারী সরকার, পিতা মৃত আবদুল খালেক ৮৭. ল্যা. না. মো. মাসুম হাওলাদার, পিতা মো. শাহাবউদ্দিন ৮৮. নায়েক এস এম শরিফুল ইসলাম, পিতা মৃত এনামুর রহমান ৮৯. সিপাহি আবুল হোসেন, পিতা মৃত শামসুল হক ভুইয়া ৯০. সিপাহি মো. হেজবুল্লাহ, পিতা মো. শাহ আলম ৯১. সিপাহি মীর মো. আবু হানিফ, পিতা মৃত মীর মো. আব্বাস আলী ৯২. সিপাহি মো. শফিকুল ইসলাম, পিতা মো. আ. খালেক ৯৩. ল্যা. না. মো. আমির হোসেন, পিতা মো. আবুল হোসেন, ৯৪. হাবি. মো. মতিউর রহমান, পিতা মৃত আহেজ আলী, ৯৫. সিপাহি মো. জসিম উদ্দিন, পিতা মো. আ. মাজে ৯৬. সিপাহি মো. ইমাম হাসান, পিতা মো. শহিদুল্লাহ ৯৭. হাবি. মো. আলম মিয়া, পিতা মৃত সিরাজুল হক, ৯৮. সিপাহি মো. জাকারিয়া, পিতা হাজি. মো. চুন্নু হাওলাদার, ৯৯. নায়েক মো. গোলাম মোস্তফা, পিতা মৃত আবদুর রাজ্জাক ১০০. সিপাহি মো. মাহবুবুল আলম, পিতা মো. কিশমত আলী ১০১. সিপাহি সহকারী মো. সাইদুল ইসলাম, পিতা মো. রোকন উদ্দিন, ১০২. সিপাহি মো. শফিকুল ইসলাম, পিতা মো. আবদুল মজিদ, ১০৩. সিপাহি মো. রাশেদ আলী, পিতা মো. তোফাজ্জল হোসেন ১০৪. সিপাহি মো. জামালুর রহমান, পিতা মো. আ. কাদের মোল্লা ১০৫. হাবি. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন ১০৬. সিপাহি মো. নাজির আক্তারুজ্জামান, পিতা মো. তোজাম্মেল হোসেন মণ্ডল ১০৭. সিপাহি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, পিতা আজাহার আলী ১০৮. সিপাহি মো. শাহীনুল ইসলাম, পিতা মৃত আ. কুদ্দুস ১০৯. হাবি. শহীদুল ইসলাম, পিতা মো. আ. করিম মণ্ডল ১১০. সিপাহি মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা মো. ইসরাফিল গাজী ১১১. সিপাহি শেখ ফারুক আহম্মেদ, পিতা মৃত নুরুল হক ১১২. সিপাহি মো. আবু মোয়াজ্জেম, পিতা মৃত আ. আজিজ ১১৩. সিপাহি মো. আলতাফুজ্জামান, পিতা মো. এসলাম উদ্দিন ১১৪. সিপাহি সিগ. মো. শাহ আলম, পিতা মৃত তোতা তালুকদার ১১৫. হাবি. মো. সেলিম ভূইয়া, পিতা মৃত শামসুল হক ভূইয়া ১১৬. হাবি. মো. হাতেম আলী, পিতা মৃত ছাবেদ আলী ১১৭. হাবি. মো. ফরহাদ হোসেন, পিতা মৃত খবির উদ্দিন শেখ ১১৮. হাবি. মো. নুরুল ইসলাম, পিতা মৃত কদম আলী ১১৯. সিপাহি মো. আবদুল করিম, পিতা মো. আরজাত আলী শেখ ১২০. ল্যান্স নায়েক সিগ. মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা মো. শাহজাহান ১২১. হাবি. মো. শফিকুল ইসলাম, পিতা মৃত এরশাদ মুন্সী ১২২. হাবি. মো. লুৎফর রহমান, পিতা মৃত এলাহী তরফদার, ১২৩. ল্যান্স নায়েক (চালক) মো. গিয়াস উদ্দিন, পিতা কাজী মো. মফিজ উদ্দিন ১২৪. নায়েক মো. আজিজুর রহমান, পিতা হাজী মো. আয়েনুদ্দিন, ১২৫. হাবি. মো. আবুল কাশেম, পিতা মৃত জোনাত আলী প্রামাণিক, ১২৬. সিপাহি মো. দেলোয়ার খান, পিতা মৃত আবদুল খালেক খান ১২৭. সিপাহি মো. লাভলু গাজী, পিতা মো. কোপ্পাত আলী গাজী ১২৮. নায়েক এস এম দলিল উদ্দিন, পিতা মৃত তছির উদ্দিন শাহ, ১২৯. সিপাহি মো. মেহেদী হাসান, পিতা মো. হাবিবুর রহমান ১৩০. সিপাহি মো. ওমর ফারুক, পিতা মৃত মোহাম্মদ আলী ১৩১. সিপাহি মো. নুরুল ইসলাম, পিতা মো. আবদুস ছামাদ ১৩২. সিপাহি মো. আসাদুজ্জামান, পিতা এস এম সিরাজুল হক ১৩৩. সিপাহি মো. ফেরদৌস, পিতা মো. গিয়াস উদ্দিন ১৩৪. সিপাহি মো. আলাউদ্দিন শেখ, পিতা মৃত এস কে আবদুল লতিফ, ১৩৫. সিপাহি মো. আবু তৈয়ব, পিতা মো. ইব্রাহিম ১৩৬. সিপাহি মো. সোহেল রানা, পিতা মো. সেলিম উদ্দিন ১৩৭ সিপাহি মো. ওমর ফারুক, পিতা মো. মোশারফ হোসেন বিশ্বাস, ১৩৮. সিপাহি মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা মৃত এলাহী বক্স, ১৩৯. জেসিও নায়েব সুবেদার আবু সাইদ মিয়া, পিতা মৃত শফি উদ্দিন মিয়া ১৪০. সিপাহি মো. আলমগীর হোসেন, পিতা মো. সলিম উদ্দিন ১৪১. সিপাহি অসিম কুমার কুণ্ডু, পিতা মদন মোহন কুণ্ডু ১৪২. জেসিও মো. আশরাফ আলী মৃধা, পিতা মো. গোনজাহের মৃধা ১৪৩. সিপাহি (সিগন্যালম্যান) মো. শামীম শেখ, পিতা নুর মোহাম্মদ শেখ ১৪৪. সিপাহি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পিতা মো. দুলাল হোসেন ১৪৫. সিপাহি মো. জিল্লুর রহমান বাদল, পিতা মো. নজরুল ইসলাম ১৪৬. হাবি. মো. মিজানুর রহমান, পিতা মৃত আফছার উদ্দিন ১৪৭. সিগন্যালম্যান মো. মিজানুর রহমান, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম ১৪৮. হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলাম, পিতা মৃত আবদুল ওয়াদুদ ১৪৯. হাবিলদার মো. আ. মান্নান, পিতা মৃত আ. মজিদ বিশ্বাস ১৫০. সিপাহি মো. আতিকুর রহমান, পিতা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ১৫১. ল্যান্স নায়েক মো. কামরুল ইসলাম, পিতা মো. খাদেমুল ইসলাম ১৫২. সিপাহি মাইনুল ইসলাম, পিতা মো. রফিকুল ইসলাম ১৫৩. জেসিও না. সুবে. তালুকদার কাউসার আলী, পিতা মৃত আবদুল কাদির তালুকদার ১৫৪. জেসিও না. সুবেদার রফিকুল ইসলাম, পিতা মৃত মতিউর রহমান ১৫৫. ল্যা. না. মো. মাহাতাব উদ্দিন, পিতা মো. রেয়াজ উদ্দিন, ১৫৬. পাচক মো. রফিকুল ইসলাম, পিতা. মো. গোলাম মাওলা ১৫৭. সিপাহি মো. হাফিজুর রহমান, পিতা মো. আবদুল বারিক গাজী ১৫৮. সিপাহি মো. আনোয়ার হোসেন, পিতা মোহাম্মদ আলী তালুকদার বাকি তিনজনের সঠিক নাম পাওয়া যায়নি।
আ.লীগ নেতা তোরাবসহ খালাস ৪৫ জন : পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ৪৫ জন আসামি হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। আর ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসি বহাল আছে। মৃত্যুদণ্ড থেকে চারজনকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আবার ১৬০ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আরও ১২ জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
এ ছাড়া নিম্ন আদালতে ২৫৬ জন বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ২৯ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড থেকে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আবার নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ৩১ জনকে যাবজ্জীবন এবং চারজনের সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
নারকীয় এই হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দুজন রাজনীতিবিদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী আজকের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। অপর রাজনীতিবিদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ (পিন্টু) কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। আদালত এ রায়কে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে রায়ে বিভিন্ন সুপারিশও করেছেন আদালত। উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ছয়জন আসামি মারা গেছেন।
হাইকোর্টে যাঁরা খালাস পেলেন: ১৫২ জন বিচারিক আদালতের ফাঁসির দণ্ড পেলেও আপিল করলে হাইকোর্ট চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তাঁরা হলেন হাবিলদার খায়রুল আলম, নায়েব সুবেদার মো. আলী, হাবিলদার বিল্লাল হোসেন খান ও সিপাহি মেজবাহ উদ্দিন। ফাঁসির আসামি ডিএডি মির্জা হাবিবুর রহমান ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
১৬০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামির মধ্যে হাইকোর্ট থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১২ জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলী, ডিএডি মো. সিরাজুল ইসলাম, সিপাহি শাহিদুল ইসলাম, নায়েব সুবেদার আলা উদ্দিন, ঝাড়ুদার আমাদুল হক, রাশেদ আলী খোকা, মো. আলম, মানিক চন্দ্র, আলমগীর হোসেন, হাবিলদার কামাল উদ্দিন, সিপাহি সাইদুল ইসলাম ও সিপাহি আতিকুর রহমান। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত যে দুজন আসামি মারা গেছেন তাঁরা হলেন, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। ২০১৫ সালের ৩ মে তিনি মারা যান। আর সিপাহি শফিকুল ইসলাম মারা যান ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
বিভিন্ন মেয়াদে বিচারিক আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া ২৫৬ জন আসামিদের মধ্যে খালাস পেয়েছেন ২৯ জন। এরা হলেন ল্যান্স নায়েক মনজরুল ইসলাম, সিপাহি হামিদুল ইসলাম, ঝাড়ুদার আবদুল মাজেদ, নায়েব সুবেদার আবদুল কাদের, সিপাহি শাহ জালাল শিকদার, সিপাহি আবদুল মতিন, ল্যান্স নায়েক সাদেক আলী, সিপাহি শাহাব উদ্দিন, পাচক আমিরুল ইসলাম, সিপাহি শেখ ফরিদ, সিপাহি ইন্তাজ আলী, সিপাহি সরোয়ার হোসেন, হাবিলদার বাবুল ইসলাম, সিপাহি আবুল কালাম, সিপাহি রাকিবুল ইসলাম লিমন, সিপাহি মো. শফিকুল ইসলাম, হাবিলদার আবদুল বারিক, সিপাহি মাহবুবুল আলম, সিপাহি আজাজুল হক রাহী, নায়েক মো. ওয়াজেদ আলী, সিপাহি আনিসুর রহমান, হাবিলদার খন্দকার পনির উদ্দিন, কার্পেন্টার শামসুল হক, সিপাহি শেখর প্রসাদ চৌধুরী, সিপাহি মো. আরাফাত হোসেন, সিপাহি মোকাররম হোসেন, সিপাহি জিয়াউল হক ও সিপাহি কামরুল হাসান (পলাতক)। ২৮ জন বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট কোনো আপিল করেনি। হাইকোর্টে ১০ বছর কারাদণ্ড পেয়েছেন ১৮২ জন। দুজনের ১৩ বছর, আটজনের সাত বছর, চারজনের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। মারা গেছেন তিনজন। এঁরা হলেন জেসিও সুবেদার আবদুল কাইয়ুম। তিনি ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট মারা যান। আর জেসিও নায়েব সুবেদার শাহিদুল ইসলাম ২০১৪ সালের ৭ অক্টোবর এবং ল্যান্স নায়েক আবদুল বারেক মারা যান ২০১৬ সালের ২৫ মে।
ফাঁসির দণ্ড থেকে কমে যাবজ্জীবন : মৃত্যুদণ্ড থেকে কমে আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁরা হলেন জাকির হোসেন, এমএলএসএস সাইফ উদ্দিন মিয়া, সিপাহি মো. রমজান আলী, ল্যান্স নায়েক মো. মোজাম্মেল হক, নায়েব সুবেদার (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট) মনোরঞ্জন সরকার, নায়েব আলী হোসেন, সিপাহি কামরুল হাসান ও সিপাহি মো. সেলিম।
বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এঁদের মধ্যে থেকে খালাস ৩১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই ৩১ জন আসামি হলেন সিপাহি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নায়েক মাহবুবুল আলশ, নায়েক তারেকুল ইসলাম, সিপাহি মো. মেহেদী হাসান, হাবিলদার মো. নুরুল আমিন, জেসিও নায়েব সুবেদার মো. ইদ্রিম মিয়া, সিপাহি মো. হাবিবুর রহমান, ল্যান্স নায়েক রাজকুমার পাল, জেসিও নায়েব সুবেদার সনথ মালাকার, সিপাহি নুর আলম সরকার, সিপাহি মো. আলী আকবর, সিপাহি মো. শফিউল আযিম, সিপাহি মো. শাহনুর রহমান, হাবিলদার মো. নুরুল হক, ল্যান্স নায়েক মো. হারুন, নায়েক মো. গুলজার হোসেন, সিপাহি মো. শামসুল হক, সিপাহি আবদুস শহীদ, সিপাহি হাসান আলী, সিপাহি মো. কাওসার আহমেদ, সিপাহি ও মো. ফারুক আহমেদ, ল্যান্স নায়েক মো. জহুরুল ইসলাম, সিপাহি মো. মোস্তফা কামাল, সিপাহি মো. মাহবুবুল আলম, সিপাহি গাজী মাশুদুল হক, সিপাহি মো. আবদুল খালেক, সিপাহি মো. বাকী বিল্লাহ, ল্যান্স নায়েক মো. আবদুল আজিজ, সিপাহি মো. মফিজুর রহমান, হাবিলদার শেখ আবদুর রশীদ, কুক আমিন মোল্লাহ। এ ছাড়া খালাস পাওয়া চারজনের সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এঁরা হলেন হাবিলদার জেসিও নায়েব সুবেদার সনথ মালাকার, নায়েক মুক্তার হোসেন, সিপাহি মো. আলমগীর কবীর ও মো. জিয়া উদ্দিন বাবলু।