পিতা হত্যা মামলায় ছেলে জেলহাজতে : স্ত্রীর জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার ঘরজামাই রবিউল ইসলাম হত্যার নেপথ্য উন্মোচনের পথে বলে মন্তব্য পুলিশের

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার ঘরজমাই রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় তার ছেলে শান্তিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এছাড়া রবিউল ইসলামের স্ত্রী জাহেরা খাতুন জারেকে গতকাল দিনভর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমির আব্বাস বলেছেন, হত্যার নেপথ্য উন্মোচনের পথে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে জাহেরা খাতুন জারের সাথে দীর্ঘ প্রায় ২৬ বছর আগে বিয়ে হয় আলমডাঙ্গা নতিডাঙ্গার মৃত আজেহার আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের। বিয়ের পর রবিউল শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস শুরু করেন। জমি কেনেন। পাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ির সাথে মুদিদোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। জাহেরা খাতুনের প্রথমপক্ষের এ মেয়েসহ রবিউল পক্ষের তিন মেয়ে এক ছেলের সকলেরই বিয়ে হয়েছে। ছেলে শান্তি কয়েক মাস আগে বিয়ে করে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পেছনে তথা জোয়ার্দ্দারপাড়ায়। বিয়ের পর শান্তি শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস শুরু করে। মাঝে মাঝে পিতার বাড়ি থেকে মালামালসহ জমির ভাগ নেয়ার জন্য উৎপাত করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রবিউল ইসলাম। ভোরে তার স্ত্রী ও দু মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে তারা বলে, হৃদরোগে রবিউল মারা গেছে। লাশে আঘাতের দাগ দেখে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের মুখে স্ত্রী ও কন্যারা বলে, বাঘডাশায় হত্যা করেছে। শুক্রবার লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিউল ইসলামের ছোট ভাই মাহবাব উদ্দীন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের পর পরই স্ত্রী জাহেরা খাতুন জারে, দু মেয়ে রেহেনা ও সবিনাসহ ছেলে শান্তিকে থানায় নেয় পুলশ।

রাতে পুলিশ জানায়, এদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অবশ্য গতকাল ছেলে শান্তিকে তার পিতা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এদিকে নিহত রবিউল ইসলামের স্ত্রী জাহেরা খাতুন জারের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা সরাসরি স্বীকার করেনি। দু মেয়েকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে তাদরকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। হত্যার নেপথ্য উন্মোচন হতে শুরু করেছে।