পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে রেখে গেছে সীমান্তে

ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার গরুব্যবসায়ী মালেক

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়ের ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতে গিয়ে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঠাকুরপুর গ্রামের ৩ সন্তানের জনক গরুব্যবসায়ী আবদুল মালেক (৩০)। তিনি গ্রামেই বাজারপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে। বিএসএফ মালেককে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে  আহত করে সীমান্তে ফেলে রেখে যায়।

মালেকের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে আবদুল মালেকসহ ঠাকুরপুর সীমান্তে দিয়ে অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে ঢোকে ৫-৬ জন গরুব্যবসায়ী। এসময় বিএসএফ মালেককে আটক করতে পারলেও অন্যদের আটক করতে ব্যর্থ হয়। আটকের পর মালেককে পিটিয়ে সারা শরীর থেতলিয়ে দেয়া হয় ও হাত-পা ভেঙে সীমান্তে ফেলে রাখা হয়। পরে মালেকের বাড়িতে তার সঙ্গীরা বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন তাকে রাত ১টার দিকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

মালেকের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক জানান, শনিবার রাতে আমার ছেলে মালেক ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাকে আটক করে প্রচন্ড নির্যাতন করে। তার হাত-পা ভেয়ে দেয় এবং সারা শরীরে আঘাত করে থেতলে দিয়েছে। তার সাথে যারা গিয়েছিলো তারা পালিয়ে এসে আমাকে খবর দিলে আমরা সীমান্তে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

এদিকে ঠাকুরপুর বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার খলিলুর রহমান জানান, অবৈধ পথ দিয়ে মালেক ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলো এবং বিএসএফ আাটক করে নির্যাতন করে সীমান্তে ফেলে রেখে যায় বলে বিষয়টি আমি গ্রামের লোকজনের কাছে শুনেছি।