পিএসসির ঈদ উপহার : ৯ হাজার ৪৮৪ নার্স নিয়োগের সুপারিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৯ হাজার ৪৮৪ জনকে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৭৩৯ জন নারী ও ৭৪৫ জন পুরুষ। এ ছাড়া লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তথ্যবিভ্রাট এবং প্রশাসনিক কারণে ১২৫ জনের সুপারিশ স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলাফল কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে। গতকাল রোববার পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক এ তথ্য জানান।
এ বছরের ২৮ মার্চ নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। ৫ মাস ৬ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করা হলো। আমরা ২৯ কার্যদিবসে ১১ হাজার ৯৫ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছি। প্রতিদিন ১০টি বোর্ডে প্রায় ৪শ’ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এটা বিশাল কর্মযজ্ঞ ছিল। এর পাশাপাশি বিসিএসসহ পিএসসির অন্যান্য কার্যক্রমও চলেছে। তিনি জানান, একই ধরনের পদ হওয়ায় অটোমেশনের মাধ্যমে মেধা, নারী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন কোটায় নিয়োগে সময় সাশ্রয় হয়েছে।

জানা গেছে, নিয়োগের সুপারিশ করা নার্সদের মধ্যে? ৯৬১ জন বিএসসি নার্স আর বাকিরা ডিপ্লোমা। দেশের স্বনামধন্য অনেক বেসরকারি হাসপাতালের নার্সরা এখানে নিয়োগ পেয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নতুন অনেক শূন্য পদের সৃষ্টি হবে। এতে করে নতুন নার্স নিয়োগের ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে। পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের সনদ, ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রের সত্যতা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হবে। সুপারিশকৃত কোনো প্রার্থীর যোগ্যতা বা কাগজপত্রের ঘাটতি ধরা পড়লে, দুর্নীতি, সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে, অসত্য তথ্য দিলে বা কোনো গুরুতর ত্রুটি পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিল ছাড়াও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ঘোষণা ও যথাযথ এজেন্সি কর্তৃক প্রাক-নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুপারিশকৃত প্রার্থীদের নিয়োগ দেবে। কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের কোটা-সংশ্লিষ্ট সনদসহ অন্যান্য সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। সুপারিশকৃত সব প্রার্থীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কোটা অনুযায়ী এবার তিনজন প্রতিবন্ধী প্রার্থীকে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সুপারিশ স্থগিত থাকা প্রার্থীদের কমিশন গঠিত কমিটির কাছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সনদ, তথ্য, নথিপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নার্স পদটিকে বর্তমান সরকার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় পিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ হচ্ছে। সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে লিখিত পরীক্ষায় ১৮ হাজার ৬৩ জনের মধ্যে ১১ হাজার ৯৫ জন পাস করেন। মৌখিক পরীক্ষায় ১০ হাজার ৯০০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে ৯ হাজার ৪৮৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।